India Pakistan Tension : ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পরিস্থিতির পর থেকেই ব্ল্যাকআউট (Blackout Rules) শব্দটি ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশবাসীর মুখে। জানেন ব্ল্যাক আউটের সময় কী করতে নেই। কারা এই ব্ল্যাক আউটের সময়ও বিভিন্ন কাজে ছাড় পান ? এখানে জেনে নিন বিস্তারিত।
ফের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘল করেছে পাকিস্তান২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন সিঁদুর পরিচালনা করে। যেখানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের আস্তানা ধ্বংস করে।
এর পর পাকিস্তান দেশের অনেক শহরে আক্রমণ করছে। সবথেকে বড় বিষয়, শনিবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও ফের তা লঙ্ঘন করে পাকিস্তান।বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে এই হামলা চালানো হচ্ছে। এখন এর কারণে অনেক শহরে ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে। এর নিয়ম কী এবং ব্ল্যাকআউটের সময় কারা ছাড় পায় তা জেনে নিন।
ব্ল্যাকআউটের নিয়ম কী?যুদ্ধের সময় প্রায়শই দেশগুলিতে ব্ল্যাকআউট করা হয়। এই সময়ে ভারতে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যে কারণে নিরাপত্তা সংস্থা ও সরকারের নির্দেশে অনেক শহরে ব্ল্যাকআউট করা হয়েছে। আসুন আপনাকে বলি যে ব্ল্যাকআউটের সময় কিছু নিয়ম ও নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হয়। যাতে দেশের নিরাপত্তা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
এই সময় ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়। লোকজনকে ঘরের ভেতরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। ভবন থেকে বেরিয়ে আসা আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। যানবাহনের হেডলাইট ঢেকে দেওয়া হয়। সব ধরনের কৃত্রিম আলো কমিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তার সকল বাতি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ব্ল্যাকআউটের সময় এই মানুষগুলো ছাড় পায় ব্ল্যাকআউটের সময় স্বাভাবিক কর্ণকাণ্ড সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় বিষয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক সাহায্য প্রদানের জন্য অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার ব্রিগেড ও পুলিশ বাহিনীর মতো জরুরি পরিষেবাগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়। এছাড়াও, সামরিক ঘাঁটি, বিমানবন্দর এবং হাসপাতালগুলিকেও ছাড় দেওয়া হয়।
এই জায়গাগুলিতে ব্ল্যাকআউট হয়েছেপাকিস্তানের ড্রোন হামলার পর, ভারতের জলন্ধর, চণ্ডীগড় এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট সহ কিছু শহরে ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে। এছাড়াও, স্বর্ণমন্দিরেও ব্ল্যাকআউট জারি করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর, উধমপুর, সাম্বা, আখনুর এবং কিশতওয়ারেও ব্ল্যাকআউট হয়েছে।