নয়াদিল্লি: ‘ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হওয়ার পরিস্থিতি হলেও ৯০ দিনের মধ্যে বিমার টাকা। আইনের সংস্কারের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবিত্তর সঞ্চয়। আইন সংস্কার করে আমরা ব্যাঙ্ক ও আমানতকারী উভয়কেই রক্ষা করেছি,’ ব্যাঙ্ক আমানত বিমা সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।


এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে কার্পেটের নিচে সমস্যাগুলিকে লুকিয়ে রাখার মনোভাব আমাদের দেশের সমস্যা ছিল। কিন্তু আজকের নতুন ভারত সমস্যার সমাধানের দিকে নজর দেয়, সমস্যার সমাধানে দেরি করায় নয়। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, বারবার কেন্দ্রকে অনুরোধ করতাম, ব্যাঙ্কে আমানতের উপর বিমার অঙ্ক এক লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করা হোক। কিন্তু কোনওদিন সেটা হয়নি। সেই কারণে মানুষ আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন।’


প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ে বিমার টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা আমানতকারীরাই। এক বছরে এক লক্ষ আমানতকারীকে ১,৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক যদি বাঁচাতে হয়, তাহলে আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে হবে। আমরা ব্যাঙ্ক বাঁচিয়েছি, আমানতকারীদের সুরক্ষা দিয়েছি। বছর পর বছর ধরে ব্যাঙ্ক থেকে নিজেদের টাকা ফেরত পেতেই সমস্যায় পড়েছেন গরিব, মধ্যবিত্তরা। কোনও ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হলে বা সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হলে আমানতকারীরা যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাঁদের টাকা ফেরত পেয়ে যান, সরকার আইন পরিবর্তন করে সেই ব্যবস্থা করেছে। কোনও ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে গেলে আমানতকারীরা এখন থেকে এক লক্ষ টাকার বদলে পাঁচ লক্ষ টাকা পাবেন। এই প্রকল্পের আওতায় থাকছেন ৯৮ শতাংশ আমানতকারী। ৯০ দিনের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন তাঁরা। ব্যাঙ্কগুলিতে ৭৬ লক্ষ কোটি টাকা এই প্রকল্পের আওতায় থাকছে।’


যে ব্যাঙ্ক আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারেনি, সংশ্লিষ্ট আমানতকারীদের হাতে এই অনুষ্ঠানেই প্রতীকি চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।