EPFO: আবারও EPS সাবস্ক্রাইবারদের ক্ষেত্রে হায়ার পেনশন আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে EPFO। এই নিয়ে তৃতীয়বার বাড়ল মেয়াদ। প্রাথমিক ভাবে EPS পেনশনের ডেডলাইন ছিল ৩ মার্চ, ২০২৩। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ৪ নভেম্বর এই ডেডলাইন ঠিক করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রথমবার EPS হায়ার পেনশনের মেয়াদ বাড়য়ে করা হয় ৩ মে, ২০২৩। পরবর্তী পর্যায়ে মেয়াদ ছিল ২৬ জুন, ২০২৩ পর্যন্ত। এবার ফের EPS হায়ার পেনশনের আবেদনের জন্য সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ১১ জুলাই পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বাড়তি সময়ের মধ্যে কর্মীরা ভালভাবে বুঝে নিতে পারবেন সমগ্র বিষয় এবং আদৌ তাদের এই হায়ার পেনশনের জন্য আবেদন করা উচিত কিনা সেটাও বুঝতে পারবেন কর্মীরা। 


Higher EPS Pension- এ কারা আবেদন করতে পারবেন


সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল কোন ক্যাটেগরির কর্মীরা Higher EPS Pension- এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেখানে বলা হয়েছিল একজন কর্মী তখনই Higher EPS Pension- এর জন্য আবেদন করতে পারবেন যদি সেই ব্যক্তি EPS অথবা EPF সদস্য হন। ২০১৪ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে সদস্য থাকতে হবে EPS এবং EPF- এর। যদি এই সময়সীমার আগে অবসর নিয়ে নেন তাদের Higher EPS Pension রিকোয়েস্ট খারিজ করা হবে। মাইক্রো ব্লগিং ওয়েবসাইট টুইটারে EPFO-এর পোস্টে অনেক ব্যবহারকারী তাদের অভিযোগ জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলে যে তারা কর্মচারী পেনশন প্রকল্পে বেশি পেনশন বিকল্প বেছে নেওয়ার অধিকারী। এই ক্ষেত্রে সব ধরনের যোগ্যতার শর্ত পূরণ করেন তাঁরা। এরপরও তারা তা নির্বাচন করতে পারছে না, কারণ তাদের আবেদন জমা হচ্ছে না।


চাকুরিজীবীদের জন্য সুখবর, শূন্য দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বাড়ল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের ( Employees' Provident Fund  )সুদের হার। ইপিএফের সুদের হার সামান্যই হয়েছে। তবুও তা সাধারণ চাকুরিজীবীদের কাছে সুখবর। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য সুদের হার হল ৮.১৫ শতাংশ। গত বছর, 2021-22  অর্থবর্ষের জন্য EPF অ্যাকাউন্টের সুদের হার ছিল ৮.১ শতাংশ । ২০২২ সালের মার্চে ইপিএফের সুদের হার কমিয়ে ৮.১ শতাংশ  করা হয় (২০২১-২২ সালের জন্য)। যা ছিল গত চার দশকে সবথেকে কম । তার আগের আর্থিক বছরে ৮.৫ শতাংশ থেকে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার কমিয়ে নামানো হয় ৮.১ শতাংশে। আগের ৪৩ বছরের মধ্যে যা ছিল সর্বনিম্ন। ১৯৭৭-৭৮ সালের পর সেই  প্রথম EPF-এ সুদের হার এতটা কমিয়ে দেওয়া হয়। মার্চেই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ বা CBT। সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেয় কেন্দ্র। এর ফলে বড়সড় কোপ পড়ে প্রায় পাঁচ কোটি সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ে। এবার তার থেকে সামান্যই বাড়নো হল সুদের হার।


আরও পড়ুন- বুদ্ধিতে মানুষের সঙ্গে পাল্লা দেবে এই পাঁচ প্রাণী, কারা রয়েছে তালিকায়?