Sharp Memory: কথায় বলে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হল মানুষ (Human)। তাদের মস্তিষ্কের (Brain) সঙ্গে পাল্লা দেবে এমন কাউকে মেলা মুশকিল। ক্ষুরধার বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দেবে এমন কোনও জীব নেই ভূখণ্ডে। কিন্তু জীবজগতে আরও অনেক পশুপাখিই কিন্তু রয়েছে যারা যথেষ্ট বুদ্ধি সম্পন্ন। হয়তো মানুষের পর্যায়ে নয়, কিন্তু অন্যান্য জীবজন্তুর তুলনায় তাদের মস্তিষ্ক অনেক বেশি প্রখর। এই দলে কোন কোন জীবজন্তু, পাখি রয়েছে তাদের সম্পর্কে বিশদে জেনে নেওয়া যাক।


ডলফিন- মানুষের সঙ্গে ডলফিনদের কিন্তু খুব সহজে সখ্য গড়ে ওঠে। দারুণ মজার সব ভিডিও মাঝে মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। জলে বিভিন্ন ধরনের স্টান্ট দেখাতে বেশ পারদর্শী ডলফিনরা। বেশ সহজে প্রশিক্ষণও দেওয়া যায় তাদের। মস্তিষ্ক খুবই সজাগ হয় ডলফিনদের। কোনও কিছু মনে রাখার ক্ষমতা অসীম। অন্য ডলফিনের থেকে আলাদা হওয়ার পরে ২০ বছর পর্যন্ত সেই ডলফিনের কণ্ঠস্বর মনে রাখতে পারে তারা। আর ট্রেনারদের সঙ্গে, ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে ডলফিনরা ঠিক কতটা সহজ, সরল ভাবে মিশে যায় তার নিদর্শন তো সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে হামেশাই পাওয়া যায়।


হাতি- কুলোর মতো বড় বড় দুটো কান, লম্বা দাঁত, সুবিশাল মাথা, বিশালাকার বপু- সব মিলিয়ে গজরাজ আক্ষরিক অর্থেই রাজকীয়। মস্তিষ্কের প্রখরতার নিরিখেও প্রথম সারিতেই রয়েছে হাতিরা। ডলফিনের মতো হাতিদেরও মনে রাখার ক্ষমতা সাংঘাতিক। যেকোনও জায়গা খুঁজে বের করতে, পথঘাট চেনার ক্ষেত্রে হাতিদের জুড়ি মেলা ভার। মানুষের কণ্ঠস্বর দারুণ ভাবে মনে রাখতে পারে হাতিরা। এর পাশাপাশি এদের ঘ্রাণেন্দ্রিয়ও খুবই প্রখর। অর্থাৎ গন্ধ চিনে রাখার ক্ষমতা রয়েছে হাতিদের।


শিম্পাঞ্জি- বলা হয় 'ফটোগ্রাফিক মেমরি' থাকে শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে অনেকের। যা দেখে, যা শোনা সবই নাকি মনে রাখতে পারে দুর্দান্ত ভাবে। কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে মানুষদের তুলনায় দ্রুত জিনিস খুঁজে পায় শিম্পাঞ্জিরা। দারুণ ভাবে মনে রাখতে পারে সংখ্যা। 


তিমি- দুরন্ত স্মৃতিশক্তি থাকে তিমিদের। আর তাই সমুদ্রের অন্তঃস্থলে সমস্ত ধরনের বাধাবিপত্তি যুঝে টিকে থাকে তারা। জলের মধ্যে বিভিন্ন রাস্তা অনায়াসে মনে রাখতে পারে তিমিরা। আবহাওয়া অনুসারে তাই প্রয়োজনে সমুদ্রের মধ্যে একস্থান থেকে অন্যত্র যেতে অসুবিধা হয় না তাদের।


ঘোড়া- এদেরও মনে রাখার ক্ষমতা অসীম। সহজেই অন্য ঘোড়াকে চিনে নিতে পারে। মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন সখ্য বজায় রাখতে পারে এই প্রাণী। গতির জন্য বিখ্যাত ঘোড়ারা সহজেই পথঘাট চিনে নিতে পারেন। পুরো রাস্তা সহজে চিনে বের করতে পারে।


আরও পড়ুন- অসময়ে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা রয়েছে? এই সমস্যা দূর করতে কী কী করবেন