কলকাতা: সরকারি চাকরি করলে সাধারণত পেনশনের সুযোগ রয়েছে। তাই ভবিষ্যত নিয়ে একটু হলেও নিশ্চিন্ত থাকেন তাঁরা। কিন্তু যাঁরা সরকারি চাকরি করেন না? যাঁরা স্বনিযুক্ত কোনও কাজ করেন, ছোট ব্য়বসা করেন কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে? তাঁদের তো পেনশন নেই। যদি বলা হয় তাঁদেরও পেনশন (Pension Scheme) রয়েছে? তবে সেই ব্যবস্থা করতে হলে যতটা সম্ভব কেরিয়ারের গোড়া থেকে গোছালেই ভাল হয়। বৃদ্ধ বয়সে যে কোনও নাগরিক যাতে নির্দিষ্ট রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারেন, তার জন্য বিশেষ প্রকল্প রয়েছে সরকারের।
২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার চালু করেছিল অটল পেনশন যোজনা (Atal Pension Yojana)। যা পেনশনের জন্য নির্ভরযোগ্য জায়গা। আপনি কীভাবে অটল পেনশন যোজনার জন্য আবেদন করতে পারবেন? এর জন্য মানদণ্ড কী কী?
অটল পেনশন যোজনা কী?
অটল পেনশন যোজনার (Atal Pension Scheme) মাধ্য়মে ৬০ বছর বয়সের পরে এক নাগরিকের জীবনযাপনের জন্য একটি স্থিতিশীল আয়ের উৎস প্রদানের জন্য এই প্রকল্প। সরকার দ্বারা পরিচালিত অটল পেনশন প্রকল্পে ৬০ বছর বয়সের পরে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পেনশন দেওয়া হয়। সাধারণত এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্য ছিল অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা বাসিন্দারা। যাঁরা বড় ব্যবসা করেন না, যাঁদের রোজগার কম, বেতন পেলেও সেটা বেশি কিছু নয়- এই প্রকল্প তাঁদের জন্য উপকারী। পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (PFRDA) দ্বারা পরিচালিত, APY একটি স্বেচ্ছাসেবী সঞ্চয় পদ্ধতি। এই প্রকল্পে যত কম বয়সে আবেদন করা হবে, প্রিমিয়ামের পরিমাণ তত কম হবে।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
অটল পেনশন যোজনায় আবেদন করার জন্য
১. আবেদনকারীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে
২. ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী নাগরিকরা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন
৩. প্রকল্পের অধীনে, প্রতি মাসে ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পেনশন হিসাবে পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রিমিয়ামের পরিমাণ অনুযায়ী পেনশনের অর্থ নির্ধারিত হয়
৪. অন্তত ২০ বছরের জন্য প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হয়।
৫.সক্রিয় মোবাইল নম্বর থাকতে হয়
৬. আধারের সঙ্গে যুক্ত একটি ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হয়
৭. অন্য কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে থাকলে হবে না
কীভাবে আবেদন করবেন?
ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। কাছের কোনও ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে ফর্ম নিয়ে অটল পেনশন যোজনার অ্য়াকাউন্ট খুলতে পারবেন। মোবাইল নম্বর, আধার নম্বর, ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ছবি দিয়ে ফর্ম জমা দিয়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়া যায়। এক্ষেত্রে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিত নির্দিষ্ট অঙ্কের প্রিমিয়াম কেটে নেওয়া হবে।
এছাড়াও একাধিক পেনশন স্কিম রয়েছে নানা ব্যাঙ্ক ও বিমা সংস্থার। সেখানে নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের মাধ্যমে ভবিষ্য়তে নির্দিষ্ট অঙ্কের মাসোহারার (Pension Plan for all) ব্য়বস্থা করা যায়। রয়েছে NPS বা National pension scheme- এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করা যায়। মূলত শেয়ার মার্কেটের ওঠানামার সঙ্গে যুক্ত এই পদ্ধতি। মূলত প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি চাকুরিজীবীরা এর ব্য়বহার করে থাকেন। HDFC, SBI Life থেকে শুরু করে LIC-এর একাধিক পেনশন স্কিম রয়েছে। যেখানে শর্ত অনুযায়ী সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্টের (Systematic Investment plan) মাধ্যমে ভবিষ্যতে পেনশনের (Pension Scheme) ব্য়বস্থা করে রাখা যায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: প্রবল গরমের দোসর বার্ড ফ্লু আশঙ্কা! অন্তঃসত্ত্বারা খেয়াল রাখবেন কী কী? জানাচ্ছেন চিকিৎসক