Traffic Rules : এই রিপোর্টের কথা শুনলে আপনারও চিন্তা বাড়বে। প্রতিবেদনে (Road Accidents In India) বলা হয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ভারতে ২০ জন করে মারা যাচ্ছেন। এদের সকলেরই মৃত্যু হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনায়। তাই রাস্তায় বেরোলেই 'সেফ ড্রাইভ, সেফ লাইফ'- বাক্যটি মাথায় রাখুন। এতে আপনার পাশাপাশি অন্যজনেরও প্রাণ বাঁচবে।
প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ৪৭৪ জন ভারতে সড়ক নিরাপত্তার অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রণালয়ের (MoRTH) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ১.৭২ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। এর অর্থ হল, প্রতিদিন গড়ে ৪৭৪ জন মারা যাচ্ছে এবং প্রতি ঘন্টায় প্রায় ২০ জন মারা যাচ্ছে। এই পরিসংখ্যান কোনও মহামারীর চেয়ে কম নয় এবং এটি দেখায় যে আমাদের রাস্তাঘাট এখনও খুব বিপজ্জনক।
সড়ক দুর্ঘটনাই প্রধান কারণরিপোর্টে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত গতি ও ভুল পথে গাড়ি চালানো এই দুর্ঘটনার সবচেয়ে বড় কারণ। এর পাশাপাশি হেলমেট ও সিট বেল্ট ব্যবহার না করাও মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ৫৪,৫৬৮ জন মোটরসাইকেল আরোহী হেলমেট না পরার কারণে মারা গেছেন। শুধু তাই নয়, সিট বেল্ট না পরার কারণে হাজার হাজার মানুষ অকাল প্রাণ হারিয়েছেন।
পথচারী ও দুই চাকার গাড়ির চালকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হনএই প্রতিবেদনে আরও স্পষ্ট করা হয়েছে যে সড়ক দুর্ঘটনার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পথচারী ও দুই চাকার গাড়ির চালকদের উপর পড়ে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই ৩৫,০০০ এরও বেশি পথচারীর মৃত্যু হয়েছে, যা ২০২২ সালের তুলনায় অনেক বেশি। এটি দেখায় যে ভারতের রাস্তাগুলি এখনও পথচারী এবং সাইকেল চালকদের জন্য নিরাপদ নয়।
সড়ক নিরাপত্তা মিশন এখন বাধ্যতামূলকরোড সেফটি নেটওয়ার্ক ও কনজিউমার ভয়েসের মতো সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্ঘটনার দায় কেবল "মানবিক ত্রুটি"-এর উপর চাপানো যাবে না। আসলে যা প্রয়োজন- তা হল পদ্ধতিগত পরিবর্তন। এর মধ্যে আইনের কঠোর প্রয়োগ, হেলমেট ও সিট বেল্ট নিয়মের কঠোর বাস্তবায়ন এবং শহর ও গ্রামে নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন- সড়ক নিরাপত্তা এখন কেবল পরিবহণ সমস্যা নয়, বরং জনস্বাস্থ্যের জরুরি অবস্থা হিসাবে বিবেচিত হওয়া উচিত। তবেই এই সংকট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এর লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু অর্ধেকে নামিয়ে আনা। ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর জন্য জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা মিশন শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পথচারী, সাইকেল আরোহী এবং দুই চাকার গাড়ি চালকদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার না দিলে পরিস্থিতির উন্নতি করা কঠিন হবে।
Car loan Information:
Calculate Car Loan EMI