নয়াদিল্লি: বিনিয়োগের নয়া মাধ্যম। অনেক লাভ। সহজে লেনদেন। এমন নানা সুবিধার কথা বলা হয় ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে। বিশ্বজুড়ে বহু মানুষ বিনিয়োগের জন্য ব্যবহার করে থাকেন ক্রিপ্টোকারেন্সি। এই জগতে সবচেয়ে পরিচিত নাম বিটকয়েন। কিন্তু বিটকয়েন ছাড়াও আরও বেশ কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি রয়েছে যেখানে বিনিয়োগ করে থাকেন অনেকে। এবার তাতেই নামল ধস।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি এথেরিয়াম (Ethereum)। বিটকয়েনের পরেই এর স্থান। এবার সেখানেও ধস নামল।
২৪ ঘন্টায় তলানিতে:
গত ২৪ ঘণ্টায় এথেরিয়ামের দাম পড়ে গিয়েছে ২০ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির (cryptocurrency) এই ধসে মাথায় হাত বিনিয়োগকারীদের। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার দাম কমতে থাকায় অনেক বিনিয়োগকারীরা (Investor) বেচে দিচ্ছেন তাঁদের হাতে থাকা ক্রিপ্টোকারেন্সি (cryptocurrency)। তার ফলেই ধস নেমেছে সেই বাজারে।
কোথায় কতটা ধস:
শুধু এথেরিয়াম (Ethereum) নয়, বিটকয়েনেরও (bitcoin) দাম পড়েছে। গত দেড় বছরে সবচেয়ে নীচে নেমেছে বিটকয়েনের (Bitcoin) দাম। বৃহস্পতিবার সকালে বিটকয়েনের দাম নেমে গিয়েছে ২৬ হাজার ডলারেরও নীচে। যদিও পরে কিছুটা উঠলেও আগের জায়গায় যেতে পারেনি। এথেরিয়ামেও ভয়াবহ ধস নেমেছে। এই প্রথমবার এথেরিয়ামের দাম নেমে গিয়েছে দুই বাজার ডলারের নীচে। ২০২১ এর জুলাইয়ের পর থেকে এই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে প্রথম এত বড় পতন হয়েছে। পরিস্থিতি এমনটাই যে মাত্র একদিনে ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার থেকে মুছে গিয়েছে ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ।
ধাক্কা শেয়ার বাজারেও:
শুধু ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারই নয়। মার্কিন শেয়ার বাজারেও (Stock Exchange) ধস নেমেছে। একাধিক বড় শেয়ারের দাম পড়েছে মার্কিন (US) শেয়ার বাজারে। যা ধারণা করা হয়েছিল আমেরিকায় তার চেয়েও বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation)। গত ৪০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তার ধাক্কা গিয়ে পড়েছে শেয়ার বাজারে।
আরও পড়ুন: মাল্টিসার্চ থেকে ভার্চুয়াল কার্ড, সফটওয়ার দুনিয়ায় ঢেলে সাজ গুগলের