নয়াদিল্লি: লকডাউনে কাজ হারানো শ্রমিকদের বেকার ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। তাঁদের ৩ মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ বেকার ভাতা হিসেবে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র। এজন্য এমপ্লয়িজ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন (ইসিআইসি)-এর আওতায় এরজন্য যোগ্যতামান শিথিল করেছে সরকার। এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হতে পারেন প্রায় ৪১ লক্ষ কর্মচ্যূত কর্মী।
গত ২৪ মার্চ দেশে ঠিক লকডাউন জারি হওয়ার দিন থেকে যাঁরা কাজ হারিয়েছেন, তাঁদের সাহায্যের জন্য ৩ মাসের অর্ধেক বেতন ভাতা হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
এই শর্ত শিথিলের আগে ইএসআইসি-র আওতায় বীমাভূক্ত কর্মীরা কর্মহীনতার তিনমাস পর্যন্ত মোট বেতনের ২৫ শতাংশ দাবি করতে পারতেন। কাজ হারানোর ৩০ দিন পর এবার তিন মাসের গড় বেতনের ৫০ শতাংশ ভাতা হিসেবে পেতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্মী। বৃহস্পতিবার ইএসআইসি এ কথা জানিয়েছে।
কর্মচ্যূত এই শিল্পশ্রমিকদের সুবিধা প্রদানের এই প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ারের নেতৃত্বে ইএসআইসি-র বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে।ইসিআইসি-র হিসেব অনুযায়ী, মার্চ থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মহীন ৪১ লক্ষ কর্মী এই সুবিধা পাবেন।
ইএসআইসি-র আওতাধীন যোগ্য ব্যক্তিদের তাঁদের শেষ তোলা বেতনের অর্ধেকের সমতুল আর্থিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়াই এই পদক্ষেপের লক্ষ্য।
ইএসআইসি-র আওতাধীন অটল বিমিত কল্যাণ যোজনায় বেকার ভাতা আরও এক বছর বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইএসআইসি।
সরকারি পরিচালনাধীন সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শেষ নিয়োগকারীর থেকে পাঠানোর পরিবর্তে এই প্রকল্পের আওতাধীন (বিমাভূক্ত ব্যক্তি) কর্মীদের দাবি সরাসরি দাখিলের বন্দোবস্তও করা হয়েছে। বীমাভূক্ত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্সে সরাসরি অর্থ পাঠানো হবে।
কর্মহীনতা সংক্রান্ত এই সুবিধা পেতে বিমাভূক্ত ব্যক্তিকে অনন্ত দুই বছর এই বিমার আওতায় থাকচতে হবে এবং কাজ হারানোর আগে অনন্ত ৭৮ দিন কাজের রেকর্ড থাকতে হবে।