Adani Group Stocks: হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের কোনও প্রভাব পড়ল না কোম্পানির মুনাফায়। উল্টে বছরের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে দ্বিগুণের বেশি লাভ করল কোম্পানি। আদানি এন্টারপ্রাইজের তরফে জানানো হয়েছে, ৭২২ কোটি টাকা লাভ করেছে কোম্পানি।
Adani Enterprises Q4 Profit: কোন অঙ্কে বাজিমাত ?
আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তাদের ত্রৈমাসিক মুনাফা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। মূলত, কয়লার বিভাগে ভাল ব্যাবসার কারণে এই লাভ করতে পেরেছে কোম্পানি। গত ৩১ মার্চ কোম্পানির শেষ চতুর্থ ত্রৈমাসিকে মুনাফা ছিল ৭.২২ বিলিয়ন। যা এক বছর আগে ঠিক এই ত্রৈমাসিকে ৩.০৪ বিলিয়ন ছিল৷ কোম্পানি জানিয়েছে, আদানি এন্টারপ্রাইজের প্রধান কয়লা ব্যবসায় সুদ, কর,ডেপ্রিসিয়েশন শোধ (EBITDA) এর আগে আয়ের ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
Adani Group Stocks: ফের দায়িত্বে গৌতম আদানি
কোম্পানি বলেছে, ত্রৈমাসিকে কয়লার দাম কমে গেলেও ট্রেডিং ব্যবসা ভাল ভলিউমে পারফর্ম করেছে। সেই সঙ্গে খরচ কম করেও লাভবান হয়েছে আদানির এই সংস্থা। চলতি বছর কয়লার চাহিদা বেড়েছে, কারণ গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুৎ খরচ বৃদ্ধির প্রত্যাশায় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি জ্বালানি মজুত করেছে। কোম্পানি আরও জানিয়েছে, বর্তমানে তারা নিউ ইন্ডাস্ট্রিজ ইকোসিস্টেম ব্যবসা যেমন গ্রিন এনার্জির ওপর জোর দিয়েছে। যা এই কোয়ার্টারে ২৩ শতাংশ বেড়েছে। সবথেকে বড় খবর, আদানি এন্টারপ্রাইজ জানিয়েছে, আগামী ৫ বছরের জন্য ধনকুবের গৌতম আদানিকে কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান হিসাবে ফের নিয়ুক্ত করা হয়েছে।
শেয়ার বাজারে কারচুপি, জালিয়াতির অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির (Adani Group)। গৌতম আদানি (Gautam Adani) এবং তাঁর সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত সময় চাইল ভারতের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিওরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)। শেয়ার বাজারে কারচুপির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আরও ছ'মাস বাড়তি সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন জানাল তারা। শনিবার শীর্ষ আদালতে সেই মতো আর্জি জানানো হয়েছে (Hindenburg Research)।
সুপ্রিম কোর্ট দু'মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল
গত ২ মার্চ, বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা SEBI-কে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। শেয়ারে দামে গরমিল থেকে নিয়ম লঙ্ঘন, লেনদেন নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ তা জন্য দু'মাসের সময়সীমা বেঁধে দেয়। তদন্তে উঠে আসা তথ্য সম্বলিত বিশদ রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয় SEBI-কে।
আরও পড়ুন : Cyber Fraud: এই তিন কারণে সাইবার অপরাধের শিকার হই আমরা