Stock Market LIVE: আমেরিকার সংস্থার তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে মারাত্মক ধস নামল আদানি গ্রুপের শেয়ারে। যার প্রভাব পড়ল ভারতীয় স্টক মার্কেটে। সাকাল ১০টার মধ্যেই ১ শতাংশের বেশি পড়ে গেল নিফটি। বাজার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আজ আরও পতনের দিকে যাবে বাজার।  


Adani Group In Trouble: কেন সমস্যা বাড়ল আদানিদের ? 
আজ টানা দ্বিতীয় ট্রেডিং সেশনে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির শেয়ার ভারী পতনের সঙ্গে খুলেছে। বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গে আদানি গ্রুপের স্টক ১৮ শতাংশ কমে গেছে। মার্কিন হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট প্রকাশ হতেই এই ধস নেমেছে আদানি গ্রুপের শেয়ারে। এই সংস্থার অভিযোগ, শেয়ারের দাম বাড়াতে নিয়মের বাইরে কাজ করেছে কোম্পানি। শেয়ারের দামের মূল্যায়ন বেশি করে দেখানো হয়েছে বাজারে। যা কর্পোরেট গভর্নেন্সের চোখে ধরা পড়েছে। 


Share Market Update: আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ?
মূলত, কোম্পানিতে প্রোমোটার বা মালিকের কারসাজির ফলেই স্টকের দাম বাজারে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। অন্য লোকের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর শেয়ার কিনে নিজের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে আদানিরা, এমনই বলছে হিনডেনবার্গ রিসার্চ। যা এক কথায় বিনিয়োগকারীদের চোখে ধুলো দেওয়ার সমান। মূলত, আদানির ৫ কোম্পানির নাম রয়েছে এই জালিয়াতির তালিকায়। রক্ষা পেয়েছে আদানি উইলমার ও আদানি পোর্টের মতো কোম্পানি।  


Adani Group Stocks Crash: কী অবস্থা হয়েছে আদানি গ্রুপের স্টকের ?
এদিন আদানি ট্রান্সমিশনের স্টক খোলার সাথে সাথে 19 শতাংশ কমে গেছে। বুধবার স্টকটি 2517 টাকায় বন্ধ হয়েছিল, যা বাজার খোলার পর শেয়ার প্রতি 482 টাকায় নেমে আসে। বর্তমানে 13.22 শতাংশ পতনের সাথে শেয়ারটি 2177 টাকায় লেনদেন হচ্ছে। আদানি টোটাল গ্যাসের মজুদেও বড় ধরনের পতন হয়েছে। স্টকটি 3660 টাকার শেষ বন্ধ থেকে 2963 টাকায় নেমেছে, 700 টাকার কাছাকাছি অর্থাৎ 19 শতাংশ কমেছে। বর্তমানে শেয়ারটি 13.66 শতাংশ কমে 3147 টাকায় লেনদেন হচ্ছে।


Hindenburg Research LLC : হিনডেনবার্গের রিপোর্ট কী বলছে ?


আমেরিকার গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গের রিপোর্ট বলছে, আদানি গ্রুপের ৫ বড় কোম্পানি শেয়ার বাজার থেকে 'ডি-লিস্টিং'  বা বাদ পড়তে পারে। মূলত, এই পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত পতন হতে পারে।বর্তমানে লিকুইডিটি ক্রাইসিস বা নগদের অভাবে ধুঁকছে এই কোম্পানিগুলি। যার ফলে বিপুল ঋণের বোঝা মেটাতে অপারগ আগাদি গ্রুপ। সেই কারণেই এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে কোম্পানি। 


অতীতেও মার্কিন কোম্পানিকে নিয়ে এই ধরনের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হিনডেনবার্গ। দেখা যায়, ৯২ ডলারের সেই শেয়ার ২ ডলারে নেমে আসে। পরবর্তীকালে আমেরিকার বাজার থেকে ডি-লিস্টিং হয়ে যায় সেই কোম্পানি।


Airtel Tariff Rise: মোবাইল রিচার্জের খরচ বাড়ল, ৫৭ শতাংশ ট্যারিফ বৃদ্ধি