Cyber Crime: পুরনো প্রতারণার ফাঁদে কাজ হচ্ছে না। তাই ভারতীয়দের ঠকাতে নতুন রাস্তা বের করেছে সাইবার অপরাধীরা। সমীক্ষা বলছে, এই ফাঁদে ৮৩ শতাংশ ভারতীয় পা দিয়েছেন। হারিয়েছেন তাদের কষ্টের অর্থ। 


AI Fraud: কী বলছে সমীক্ষা ?
কেলেঙ্কারি শব্দটি এখন আর ভারতীয়দের জন্য নতুন কিছু নয়। সবাই এই শব্দটিক সঙ্গে পরিচিত। প্রতিদিনই কোনও না কোনও স্প্যাম মেসেজ আসছে আপনার মোবাইলে। সম্প্রতি প্রতারণার ফাঁদ নিয়ে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে  McAfee ।  যেখানে দেখা গেছে, প্রায় ৮৩ শতাংশ ভারতীয় তাদের অর্থ প্রতারকদের কাছে দিয়ে দিয়েছেন। তবে কোনও এসএমএস লিঙ্ক, ওটিপি বা ডিজিটাল স্ক্যামের মধ্যে পড়ে এই পরিস্থিতি হয়নি তাঁদের। অন্য উপায়ে তাদের অর্থ হাতিয়েছে প্রতারকরা।


AI Fraud: ভুয়ো AI কলে চলছে প্রতারাণা
গত বছর থেকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা  সংবাদের শিরোনামে রয়েছে। এখন এর অপব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা মানুষকে টার্গেট করছে। সমীক্ষা বলছে, বেশিরভাগ ভারতীয় ভুয়ো AI কলের কারণে তাদের অর্থ হারিয়েছে। যেখানে তাদের অন্য প্রান্তে থাকা কলার আসল না নকল তা বুঝতে পারেননি তাঁরা। সম্প্রতি সাইবার অপরাধীদের বিষেয় একটি সমীক্ষার আয়োজন করেছিল ম্য়াকাফি। যাতে ৭টি দেশের ৭,০৫৪ জন লোক অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে প্রায় ১,০১০ জন ভারতীয় ছিলেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে,এর মধ্য়ে অর্ধেকেরও বেশি ভারতীয় আসল বা নকল এআই কলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেননি।  প্রায় ৪৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক AI কেলেঙ্কারীর সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। কারণ তাঁরা বা তাদের পরিচিতরা অতীতে এরকম কলের শিকার হয়েছেন।


Cyber Cyber: কোন ধরনের কল করে চলছে প্রতারণা ?
এই সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, প্রায় ৬৯ শতাংশ ভারতীয় নকল এআই কল ও আসল কলের মধ্যে পার্থক্য করতে পারেননি। এছাড়াও ৬৬ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা যদি জরুরি কোনও বার্তা পান তবে তাতে তাঁরা সাড়া দেবেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে বার্তাগুলিতে লোকেরা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায়, সেগুলিই পাঠানো হয়েছে সবাইকে। এই কলগুলির মধ্যে বেশিরভাগই বলেছে, তাদের টাকা ছিনতাই হয়ে গেছে, তিনি দুর্ঘটনায় পড়েছেন, ফোন বা মানিব্যাগ হারিয়ে গেছে বা বিদেশে ভ্রমণের সময় সাহায্যের প্রয়োজন। এই আপৎকালীন সমস্যার কথা শুনেই এআই কলে সাড়া দিয়েছেন অনেকেই। তথ্য যাচাই না করার কারণে তাদের হ্যাকারদের ফাঁদে পড়তে হয়েছে। যার ফলে ৮৩ শতাংশ ভারতীয় টাকা খুইয়েছেন।  


AI এর সাহায্যে ভুয়ো কল ও ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য এখন অন্যতম প্লাটফর্ম সোশ্যাল মিডিয়া। এখানেই এখন ঠগদের বেসি আনাগোনা। ম্যাকাফের সমীক্ষা বলছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠগদের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৭ শতাংশ কম  প্রাপ্তবয়স্করা এখন সোশ্যাল মিডিয়াকে বিশ্বাস করেন।  ৪৩ শতাংশ ভাবেন, যেকোনও মুহূর্তে তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ার লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন।


Spam Calls Blocking: বিরক্ত করছে 'স্প্যাম কল' ! সমস্যার সমাধানে ৭ পরিকল্পনা করছে সরকার