Muhammed Yunus: ঢাকা: চিন্তা বাড়ল ইউনিস সরকারের। এবার শ্রমিক অসন্তোষে অস্থির হচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প (Bangladesh Crisis)। পরিস্থিতি সামলাতে পারছে না অনভিজ্ঞ মুহাম্মদ ইউনূসের (Muhammed Yunus) অন্তর্বর্তী সরকার। অন্তত তেমনই জানাচ্ছেন প্রতিবেশী দেশের এক পোশাক কারখানার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাঁর মতে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের (Bangladesh Garment History) ক্ষতি করছে বর্তমান সরকার।


এখন কী অবস্থা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের
বিশ্বের সবথেকে বড় পোশাক রফতানিকারক দেশের নাম বাংলাদেশ। দেশের মোট রফতানির ৮৩ শতাংশ বিদেশে যায় কেবল পোশাক শিল্পের হাত ধরে। এই বিপুল পোশাক রফতানির মাধ্যমে বছরে ২৮ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করে প্রতিবেশী দেশ। ইতিমধ্যেই এই বিরাট অঙ্কের রফতানির জন্য 'মেড ইন বাংলাদেশ' ট্যাগ বিশ্বের পোশাক শিল্পে একটা পরিচিত নাম তৈরি হয়েছে।


১৫০ টা দেশ বাংলাদেশ থেকে পোশাক তৈরি করে
বিশ্বের পোশাক শিল্পের পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ থেকে সব মিলিয়ে ১৫০টি দেশ 'রেডিমেড' পোশাক আমদানি করে। যেকারেণ প্রতিবেশী দেশের একটা বিপুল অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান এই পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর করে। ৪০ লক্ষ লোক এই শিল্পে কাজ করে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। 


১৮ দফা দাবি ছিল হাসিনা সরকারের কাছে
অতীতে পোশাক শিল্পের কর্মীদের জন্য ১৮ দফা দাবি জানানো হয়েছিল হাসিনা সরকারের কাছে। যা পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে রফাসূত্র বের করেছিলেন হাসিনা। মূলত, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, বোনাস তথা রাতে কাজের বিষয়ে এই দাবি তুলেছিলেন শ্রমিকরা। পরবর্তীকালে যার নিষ্পত্তি ঘটায় হাসিনা সরকার।


বাংলাদেশে অস্থিরতার পরই ফের সমস্যায় শ্রমিকরা
অগস্টে বাংলাদেশে অস্থিরতার পরই পোশাক শিল্পে সমস্যার সৃষ্টি হয়। অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকারের আমলে সেপ্টেম্বরে ২৯টি পোশাক কারখানা শ্রমিকদের মজুরি দিতে পারেনি। যা নিয়ে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে শ্রমিকদের মধ্যে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে নিডল ওয়ার্কস বিডি লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জন্নাতুল বাকের খান জানান, আগে শ্রমিকদের সমস্যার প্রায় সমাধানের পথে চলে এসেছিল। শ্রমিকরা ফের কারখানায় কাজে ফিরেছিলেন। যদিও এবার ফের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে।


কীসের জন্য তৈরি হচ্ছে সমস্যা
খান জানিয়েছেন, ১০০টির মধ্যে মাত্র ২টি কারখানা এই ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। যদিও তাদের জন্য সবাইকে শ্রমিক সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সেরকম অভিজ্ঞতা না থাকায় পরিস্থিতি নাগালে বাইরে চলে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতারাও বাংলাদেশের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে। প্রতিযোগী দেশের কাছে চলে যাচ্ছে তাদের অর্ডার।


ভারতের কী ক্ষতি
জন্নাতুল বাকের খান জানিয়েছেন, পোশাক বানানোর জন্য ভারতে থেকে কাপড় প্রচুর পরিমাণে ডেনিম আমদানি করত বাংলাদেশ। যা কারখানার কাজ ব্যহত হওয়ায় এখন অনেকটাই কমেছে। ভারত থেকে কাপড়ের আমদানি কমিয়েছে বাংলাদেশ। চিন থেকেও কাপড় নিত বাংলাদেশ। যদিও বিদেশের অর্ডার কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এইসব দেশ থেকে আমদানি কমিয়েছে প্রতিবেশী দেশ।



      Financial Tips: বিয়ের পর এই পাঁচটি কাজ করুন, আর্থিক সংকট আসবে না কোনওদিন