Adani Power: বার বার বলা সত্ত্বেও কাজ হচ্ছিল না। শেষে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন ইউনিস সরকারের (Muhammad Yunus) কাছে বিদ্যুৎ বকেয়া বিলের বিষয়ে চিঠি দিয়েছিল আদানি পাওয়ার (Adani Power)। তবে সেই কথায় কাজ না হতেই এবার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ (Banglasdesh Power Crisis) অর্ধেক করে দিল গৌতম আদানির সংস্থা।


বিদ্যুৎ সরবরাহ কমাল আদানিরা
এবার বিদ্যুৎ সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ড লিমিটেড (এপিজিএল) 846 মিলিয়ন ডলার বকেয়া বিলের কারণে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়ে দিয়েছে। আদানি পাওয়ার ঝাড়খন্ড লিমিটেড (এপিজেএল), বিদ্যুৎ কোম্পানি আদানি পাওয়ারের সম্পূর্ণ মালিকানাধীন সহযোগী। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশ তার মোট প্রয়োজনের তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে।


বাংলাদেশ কেন অন্ধকারে ঢুবে যাচ্ছে
'ডেইলি স্টার'-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসি থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, প্রায় 1600 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকায় বাংলাদেশের অনেক শহর অন্ধকারে ঢুবে গেছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতের মধ্যে বাংলাদেশে ১৬০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আদানি পাওয়ারের প্রায় 1496 মেগাওয়াট ক্ষমতার প্ল্যান্ট এখন একটি ইউনিট থেকে মাত্র 700 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এই কারণেই রাজনৈতিক সঙ্কটে থাকা প্রতিবেশী বাংলাদেশ এখন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।


বিদ্যুৎ সহ্কটের মূল কারণ- কী বললেন আদানি?
আদানি পাওয়ার বলেছে, পিডিবি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাঙ্ক থেকে 170 মিলিয়ন ডলারের ঋণ সুবিধা দেয়নি। যেকারণে 846 মিলিয়ন ডলারের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করা যায়নি। যার ফলস্বরূপ  কোম্পানি দেশে বিদ্যুৎ কমাতে বাধ্য হয়েছে।


বকেয়া পরিশোধের জন্য আগেই চিঠি দিয়েছিল আদানি পাওয়ার
বিদ্যুৎ কাটার আগে আদানির কোম্পানি বাংলাদেশের জ্বালানি সচিবকে একটি চিঠি লিখেছিল। যেখানে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে (পিডিবি) ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া অর্থ শোধ করতে বলেছিল। 27 অক্টোবর লেখা একটি চিঠিতে আদানি গ্রুপ বলেছিল, যদি মুলতুবি বিল পরিশোধ না করা হয় তাহলে এটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির অধীনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় আদানি পাওয়ার ৩১ অক্টোবর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।


বাংলাদেশের অবস্থান কী ?
পিডিবি একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, আগের বকেয়ার একটি অংশ আগে পরিশোধ করা হয়েছিল। তবে জুলাই থেকে এপিজেএল আগের মাসের চেয়ে বেশি চার্জ করছে। তিনি বলেন, পিডিবি প্রতি সপ্তাহে প্রায় 18 মিলিয়ন ডলার শোধ করছে। চার্জ 22 মিলিয়ন ডলারের বেশি হয়ে যাচ্ছে এবং এই কারণেই পেন্ডিং পেমেন্ট আবার বাড়ছে।


বাংলাদেশ কেন আদানি পাওয়ারের পেন্ডিং পেমেন্ট দিতে পারছে না
অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের বিষয়ে বাংলাদেশের এক আধিকারিক বলেন, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পিডিবি কয়লার দাম নিয়ে প্রশ্ন তুললে একটি চুক্তি হয়। এতে, আদানি গ্রুপ কোম্পানি অন্যান্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্ধারিত হারের চেয়ে কম দাম রাখতে বাধ্য ছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বছরের চুক্তি শেষ হওয়ার পর, আদানি পাওয়ার আবার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী চার্জ নেওয়া শুরু করেছে।


Elcid Investments Share Price: একদিনে ১২ হাজার টাকা বাড়ল এই স্টক, তোলপাড় করছে বাজার !