নয়াদিল্লি: রক্তক্ষরণ থামছে না আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারদরে (Adani Group Stocks)। সকালে বাজার খুলতেই তাদের শেয়ারের দর প্রায় ২৫ শতাংশ কমে (25 Percent Share Price Down) যায় যার পরিমাণ ছিল ৩৯১.৩০ টাকা। সকালের দিকে আদানি এন্টারপ্রাইজের (Adani Enterprise Share) শেয়ারের দর দাঁড়ায় ১১৭৩.৯৫ টাকায়।
জারি পতন...
সকালে শেয়ারবাজার খুলতে না খুলতেই টালমাটাল শুরু হয়ে যায় আদানি গোষ্ঠীর সবকটি স্টকে। ফের ২৫ শতাংশ ধাক্কা লাগে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারদরে। বস্তুত, গত ২৪ ঘণ্টা যাবৎই গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন সংস্থাটির শেয়ারদরে রক্তক্ষরণ চলছে। সার্বিক ধাক্কায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি মার্কেট ভ্য়ালু খুইয়েছে তারা। কিন্তু তার পরেও লাগাম পরানো যায়নি রক্তক্ষরণে। শেয়ার বাজার নিয়ে যাঁরা নাড়াচাড়া করেন, তাঁদের বিশ্লেষণ এর নেপথ্য়ে মূল কারণ হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট।
বিশ্বমঞ্চেও ধাক্কা...
পরিস্থিতি এতটাই কঠিন যে S & P Dow Jones-র মতো আন্তর্জাতিক শেয়ারসূচকের তরফেও বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারকে 'সাসটেনেবিলিটি ইনডিসিসেস' থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। বিভিন্ন ধরনের আর্থিক, পরিবেশ সংক্রান্ত ও সামাজিক মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে বিশ্বের বৃহত্তম আড়াই হাজার ব্যবসায়িক সংস্থার মধ্যে ১০ শতাংশ সংস্থাকে এই 'সাসটেনেবিলিটি ইনডিসিসেস' -এ রাখে S & P Dow Jones। কিন্তু হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর থেকে যা চলছে, তার পর সেই তালিকার ঠাঁইও হারাতে চলেছে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার, এমনই জানানো হয়েছিল। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সেটি লাগু হওয়ার কথা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এমনটা বাস্তবায়িত হলে শেয়ারবাজারে যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি লগ্নির দিকে ঝুঁকতে চান তাঁদের কাছে আরও জনপ্রিয়তা হারাতে পারে আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার।
দেশেও নজরদারি...
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জও জানিয়েছে, আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস এবং অম্বুজা সিমেন্টস-র শেয়ারের উপর অতিরিক্ত নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অর্থ একটাই। এই সংস্থার স্টকের উপর এখন আরও নিয়মের কড়াকড়ি চাপবে। এছাড়াও এদিন আদানি পোর্টস এবং স্পেশ্য়াল ইকোনমিক জোন লিমিটেড অ্য়ান্ড অম্বুজা সিমেন্টস-র স্টকের উপর এফ অ্যান্ড ও (F&O) নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ। তুমুল বিপর্যয়ের মুখেও ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন গৌতম আদানি, সূত্রের খবর এমনই। ঋণদাতা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে অগ্রিম টাকা জোগাড়ের চেষ্টা করছেন তিনি। আদানি গোষ্ঠীর উপর যাতে সার্বিক আস্থা ফিরে আসে, সেটাই আপাতত মূল লক্ষ্য তাঁর। উল্লেখ্য, গত বছরই বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে নাম উঠে এসেছিল তাঁর। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহের মধ্য়ে পরিস্থিতি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে। এখন এশিয়ার ধনকুবের তালিকাতেও শীর্ষে নন তিনি।
আরও পড়ুন:আপনার সঙ্গী কোন রাশির জাতক? ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে কী উপায়ে মন গলবে তাঁর?