নয়াদিল্লি: সোমবার সারা দেশে অনশনে বসেছেন বিএসএনএল কর্মীরা। সরকারি টেলিকম পরিষেবা দেওয়া সংস্থার পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে কেন্দ্রের আগের ঘোষণা করা ৬৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প রূপায়ণে বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তাঁরা এই কর্মসূচি নিয়েছেন।
২০১৯ আর্থিক বছরে বিএসএনএলের লোকসান হয়েছিল ১৪,০০০ কোটি টাকা। লোকসানে চলা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির অন্যতম বিএসএনএলের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প চালু (ভিআরএস) চালুর পাশাপাশি ৪জি স্পেকট্রাম পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কর্মচারী ইউনিয়নের অভিযোগ, পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের মূল বিষয় ছিল ৪ জি বন্টন, কিন্তু তা এখনও হয়নি। পাশাপাশি ৭৮ হাজার কর্মী ভিআরএস গ্রহণ করার পর বাকি যে কর্মীরা রয়ে গিয়েছেন, তাঁদের বেতন হচ্ছে না। পাশাপাশি চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকরাও গত ১০ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তাছাড়া ২০১৯ এর অক্টোবরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘমেয়াদি বন্ড ছেড়ে ও সম্পত্তি বেচে অর্থ তোলার মাধ্যমে ১৫০০০ কোটি টাকার তহবিল তৈরির জন্য সার্বিক গ্যারান্টি ইস্যু করাও এপর্যন্ত হয়নি। এ ব্যাপারে ‘অস্বাভাবিক বিলম্ব’ করা হচ্ছে। ফলে তাঁদের ক্ষতি হয়ে চলেছে।
এখন বিএসএনএল কর্মীদের আশঙ্কা, বিএসএনএলকে ৪জি স্পেকট্রাম বরাদ্দে দেরি হওয়ার জেরে গোটা প্রক্রিয়াটি চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে যাবে।
এদিনের কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএসএনএলের সব ইউনিয়ন ও অ্যাসোসিয়েশন (এইউএবি)। তাদের আশু দাবিগুলির মধ্যে আছে, অবিলম্বে দু মাসের বেতন দিতে হবে। ৪ জি পরিষেবা চালু করতে হবে। ডিসেম্বর, জানুয়ারি বেতন হয়নি কর্মীদের। এছাড়া ভিআরএস প্রকল্প সফল হওয়ার পর কর্মচারীদের ‘খেয়ালখুশিমতো’ বদলির অভিযোগও তুলেছে ওই ইউনিয়ন। তা বন্ধের দাবি করেছে তারা। ৪জি পরিষেবা চালুর জন্য সংস্থার নেটওয়ার্ক ও পরিকাঠামো তৈরি রাখা হোক, দাবি করেছে ইউনিয়ন। এপ্রিল নাগাদ সরকারি স্পেকট্রাম বরাদ্দ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।