২০১৮-১৯ সালের নিরিখে ২০১৯-২০ তে দেশে সোনা আমদানি ৩ শতাংশ কমেছে। যদিও তাতে CAD অর্থাৎ কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট কমে হয়েছে জিডিপির ০.৯ শতাংশ।
ভারত বছরে গড়ে ৮০০-৯০০ টন সোনা আমদানি করে থাকে। সোনা আমদানি শুল্ক ঠিক কত কমবে তা এই মুহূর্তে বলা শক্ত, কিন্তু দেশের রফতানির দুর্দশার কথা ভেবে এই শুল্ক যে কমাতে হবে, তা নিশ্চিত।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের সোনার গয়নার চাহিদা বিদেশে বেশ ভাল। তাই অর্থনীতির যে খুঁটিটা পোক্ত, সেটা আরও শক্ত করে তোলা প্রয়োজন। গত ডিসেম্বরের হিসেব বলছে এদেশে সোনা আমদানি এক মাসে নেমেছে ১৫২ টন থেকে ৩৯ টনে।
সরকারি তথ্য বলছে, চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে সোনা আমদানি কমেছে ৭ শতাংশ।
বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে অর্থমন্ত্রককে সোনার আমদানিতে শুল্ক কমানোর বিষয়টিতে বিশেষ নজর দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি নির্মলা সীতারমণের বাজেট বই-খাতার দিকে নজর থাকবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের।
সম্প্রতি মার্কিন-ইরান সংঘাতের আবহে উপমহাদেশে ১০ গ্রাম সোনার দাম ছোঁয় ৪২ হাজার টাকা । এখন তা কমে ঘোরাফেরা করছে ৪০ হাজার টাকার আশেপাশে। ফলে সোনা কিনতে মধ্যবিত্ত এমনিই ধাক্কা খাচ্ছে। রপ্তানিতেও পড়ছে প্রভাব। এই পরিস্থিতিতে আমদানীর ক্ষেত্রে চাপ কিছুটা হালকা হলে হালে পানি পাবেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা, ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের।