নয়াদিল্লি: রান্নার গ্যাস থেকে খাবার, পেট্রোল থেকে ভোজ্য তেল, গত কয়েক মাসে সংসার চালাতে হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তের। এ বার গোদের উপর বিষফোড়া হতে চলেছে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর (Electronic Goods) মূল্যবৃদ্ধি। চলতি মাসে টেলিভিশন সেট, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র-সহ নিত্য প্রয়োজনের একাধিক সামগ্রীর দাম ৭ থেকে ১০ শতাংশ বাড়তে চলেছে বলে জানাল কনজিউমার ইলেকট্রনিকস ম্যানুফ্যাকচারার্স (Consumer Electronics Manufacturers)। এক দিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War), অন্য দিকে, কোভিডের প্রকোপে ফের লকডাউন চিনে, ব্যবসায় তার প্রভাব পড়েছে। তার জন্যই বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে (Electronic Goods Price Hike)।  


টিভি, মোবাইল, ফ্রিজ..মূল্যবৃদ্ধির প্রকোপ এ বার রোজকার বৈদ্যুতিন সামগ্রীর উপরও


সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোডাক এবং টমসন টেলিভিশনস-এর লাইসেন্সের একচেটিয়া ভাগীদার সুপার প্ল্যাস্টরোনিকস প্রাইভেট লিমিটেড-এর সিইও অবনীত সিংহ মারওয়া জানিয়েছেন, ধাতু এবং পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে এমনিতেই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি।  বৈদ্যুতিন সামগ্রীর উপরও তার প্রভাব পড়ছে। ফলে ৭ থেকে ১০ শতাংশ দাম বাড়ানো হচ্ছে। টেলিভিশন সেট, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ-সহ বিদেশি ঘড়িরও দাম বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি। দাম বাড়বে অন্যান্য সামগ্রীরও।



কাঁচামাল আমদানিতে বাধা, তাতেই মূল্যবৃদ্ধি


ব্যবসায়ী মহলের দাবি, রাশিয়া, চিনের মতো দেশ বৈদ্যুতিন সামগ্রী তৈরিতে যে উপাদান লাগে, রাশিয়া এবং চিনের মতো দেশ থেকেই তার সিংহভাগ আমদানি করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে কাঁচামাল, বিভিন্ন খনিজ, যা বৈদ্যুতিন সামগ্রীর চিপ তৈরিতে কাজে লাগে। গত ১২ মাস ধরে এমনিতেই উপাদানে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠেছে। তাই সব ধরনের বৈদ্যুতিন সামগ্রীরই দাম বাড়বে বলে মনে করছে ব্যবসায়ী মহল।


আরও পড়ুন: Toyota Hilux : টয়োটা হাইলাক্স মানেই লাইফস্টাইল অফরোডার, পিক-আপ ট্রাকের ভাষা বদলে দিয়েছে কোম্পানি


কোভিত অতিমারিতে দীর্ঘকালীন যে মন্দা দেখা দিয়েছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতে গত কয়েক ত্রৈমাসিক ধরে এমনিতেই সরঞ্জামের দাম ২ থেকে ৩ শতাংশ করে বাড়ানো হচ্ছিল। প্রায় সব ধরনের পণ্যেরই দাম বেড়েছে গত কয়েক মাসে। এ বার বৈদ্যুতিন সামগ্রীও তাতে সামিল হল।