নয়াদিল্লি: এবছরও কেন্দ্রীয় বাজেটের সঙ্গে রেল বাজেট পেশ হতে চলেছে। ২০১৮ সাল থেকে পৃথকভাবে ও পৃথকদিনে রেল বাজেট পেশ হয় না। দশক-প্রাচীন পদ্ধতিকে তুলে দিয়েছে মোদি সরকার। আগামী শনিবার উভয় বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
তা সত্ত্বেও, রেল বাজেটকে ঘিরে আলাদা একটা আকর্ষণ থাকে প্রতিবছর। দেশের অর্থনীতি হোক বা পরিকাঠামো-- বিভিন্ন দিক দিয়ে এই ক্ষেত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও, বর্তমানে ভারতীয় রেলের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। রেলের বিভিন্ন বিভাগ লোকসানে চলছে। রেলকে পায়ের তলায় শক্ত মাটি ফিরিয়ে দিতে এবং ভারতীয় রেলের চলার গতি বৃদ্ধি করতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা-বিতর্ক চলছে।
২০১৭ সাল থেকে কেন্দ্রীয় বাজেটের সঙ্গে রেল বাজেটকে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রেলকে ১.৪৮ লক্ষ কোটি টাকার মূলধন প্রদান করেছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। আসন্ন বাজেটে রেলের বরাদ্দ কিছুটা হলেও বাড়তে পারে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। পাশাপাশি, রেলে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের (পিপিপি) ওপর বাড়তি জোর দিতে পারেন সীতারমন বলেও মনে করা হচ্ছে।
তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, পিপিপি মডেলের দৌলতে রেলের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। রেলের আধুনীকিকরণের জন্য বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে মন্ত্রক। এরমধ্যে রয়েছে কিছু নতুন স্টেশন নির্মাণও। পাশাপাশি, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ট্রেন চালানো এবং অধিক যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের ক্ষেত্রেও পিপিপি মডেল কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রেল বাজেটের সময় দেশের আপামর জনতার একটা বিষয় নিয়ে তুমুল আগ্রহ থাকে। তা হল যাত্রীভাড়া। সূত্রের মতে, এখনই বাজেটে যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর রাস্তায় সম্ভবত হাঁটবেন না সীতারমন। কারণ, সম্প্রতি ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি, পণ্যভাড়া বৃদ্ধিও করতে উদ্যোগ হয়ত হবে না কেন্দ্র। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা আর্থিক মন্দাকে তুলে ধরেছেন। তাঁদের মতে, গত আর্থিক বছরের টার্গেট পূরণ না হওয়া এবং এই ক্ষেত্রে বিপুল ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও পণ্য ভাড়ার ঝুঁকি নেবে না রেল।