অর্থমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, নতুন আয়কর ব্যবস্থার ফলে নিয়মের জটিলতা ও মামল-মোকদ্দমা কমবে। ব্যক্তিগত কর এবারই সবচেয়ে কম রাখা হয়েছে। যাঁরা আয়কর ছাড়ের সুবিধা নিতে চান না, তাঁরা অনেক বেশি সুবিধা পাবেন। নতুন কর ব্যবস্থা অত্যন্ত সরল। ডিভিডেন্ড বিতরণ সংক্রান্ত কর তুলে দেওয়া হচ্ছে। আয়কর ব্যবস্থার সরলীকরণ ও কর কমানোর জন্য ৭০টি করছাড়ের ক্ষেত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে।
পুরনো আয়কর ব্যবস্থা অনুযায়ী, বছরে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে কর দিতে হত না। সেই ছাড়ের পরিমাণ দ্বিগুণ করা হল। এক্ষেত্রে নতুন ও পুরনো ব্যবস্থায় আয়কর ছাড়ের হার সমান। পুরনো ব্যবস্থায় বছরে আড়াই লক্ষ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ কর দিতে হত। এবার ঘোষণা করা হল, বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা আয়ে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে। পুরনো ব্যবস্থায় পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ কর দিতে হত। ১০ লক্ষ টাকার উপরে আয়ে ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে। এবার বাজেটে আয়করের ক্ষেত্রে অনেকগুলি ধাপ রাখা হয়েছে।
নতুন আয়কর কাঠামো অনুযায়ী, বছরে ৫ লক্ষ টাকা থেকে ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ৩৭,৫০০ টাকা কর দিতে হবে। সাশ্রয় হবে ২৫,০০০ টাকা। ৭.৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ৭৫,০০০ টাকা কর দিতে হবে। এক্ষেত্রে সাশ্রয় হবে ৩৭,৫০০ টাকা। ১০ লক্ষ টাকা থেকে ১২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১,২৫,০০০ টাকা কর দিতে হবে। সাশ্রয় হবে ৬২,৫০০ টাকা। ১২.৫ লক্ষ টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ১,৮৭,৫০০ টাকা কর দিতে হবে। সাশ্রয় হবে ৭৫,০০০ টাকা।