নয়া দিল্লি: করোনা ভাইরাস (Coronavirus) , ওমিক্রন (Omicron) দাপটে ত্রস্ত দেশ। লকডাউন (Lockdown) না হলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। সেই আবহেই ২০২২-২৩ বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। পয়লা ফেব্রুয়ারি পেশ করা সেই বাজেটে (Budget) কতটা লাভবান হবে শিক্ষাক্ষেত্র (Education Sector), সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ (India)। করোনা সংক্রমণের পর থেকেই বন্ধ হয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। আংশিক ও সাময়িকভাবে খুললেও মূলত অনলাইনেই চলছে শিক্ষাব্যবস্থা। যা নিয়ে বর্তমানে অসন্তোষ বাড়ছে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষে শিক্ষাক্ষেত্রের বাজেট ছিল ৯৯ হাজার ৩১১ কোটি টাকা, তা ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কমিয়ে ৯৩ হাজার ২২৪কোটি টাকা করা হয়েছিল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৬.১৩% কম। শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দে এই কোপ পড়ায় চিন্তায় পড়েছিল স্কুল-কলেজ। সেই বাজেট কমে যাওয়ায় গবেষণার কাজে ইউজিসি যে টাকা দিয়ে থাকে তাও কিছু ক্ষেত্রে কমে যায়, কিছু ক্ষেত্রে আটকে থাকে।
যদিও এবছর শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্ধ বৃদ্ধি হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে শিক্ষক মহলের একাংশ। কেন্দ্রীয় সরকার যে নয়া শিক্ষানীতি লাগু করেছে সেই অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিনা পয়সায় শিক্ষা, ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হলে শিক্ষাক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবেই বলেই মত। তবে তা কতটা প্রতিফলিত হবে করোনাকালের এই বাজেটে তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে।
বেসরকারি একটি স্কুলের ডিরেক্টর প্রতীক শুক্ল জানিয়েছেন, "জিডিপির ৮ থেকে ৯ শতাংশ শিক্ষার জন্য আলাদা করে রাখা উচিত। শুধু প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেই বেশি বরাদ্দ প্রয়োজন নয়, আমাদের যুবকদের দক্ষ করার জন্য নয়া পরিকল্পনাগুলিও দেখতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থা জোরদার না হলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ঘাটতি থেকে যাবে বলেই তাঁর মত। জাতীয় শিক্ষা মিশন এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের আধুনিকীকরণ করতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখছে শিক্ষামহল।