নয়াদিল্লি: দেশে স্টার্টআপ নিয়ে বরাবরই উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক কথায় বলা যেতে পারে, ভারতে ক্রমবর্ধমান স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের সমর্থক তিনি। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই শুরু হয় স্টার্টআপ ইন্ডিয়ার যাত্রাপথ। গত পাঁচ বছরে যা ৬০,০০০-এর বেশি সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, আগে কেবল এই সংখ্যাটি ৫০০ ছিল।
কোভিডকালে বড় ধাক্কা খেয়েছে এই ক্ষেত্রটি। এখনও কোভিডের তৃতীয় তরঙ্গের সঙ্গে লড়াই করছে স্টার্টআপগুলি।এরকম একটা পরিস্থিতিতে সবার চোখ রয়েছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের দিকে। যিনি ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে 2022-2023 অর্থবর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন।
সেই ক্ষেত্রে স্টার্টআপ-বান্ধব নীতিগুলির সঙ্গে বাজেটে ট্যাক্স অব্যাহতির দিকে তাকিয়ে থাকবে স্টার্টআপগুলি।প্রত্যাশা থাকবে কোম্পানিগুলিকে উদ্ভাবনে ব্যয় , ব্যবসা করার জন্য আরও ছাড় দেবে সরকার। বিশেষ করে সরকারি ভর্তুকির দিকে তাকিয়ে রয়েছে ইলেকট্রিক গাড়ির স্টার্টআপগুলি।এতে প্রোডাকশন কস্ট অনেকটাই কমে যাবে সংস্থার। ফলে কম দামে বৈদ্যুতিক গাড়ি ক্রেতাকে দিতে পারবে কোম্পানি।
কোম্পানিগুলিও আশা করছে, সরকার স্টার্টআপ ও 'মেড ইন ইন্ডিয়া' উদ্যোগের সম্প্রসারণ করবে।যাতে দেশীয় ব্র্যান্ডগুলিকে আরও বেশি করে ভারতীয় বাজারে তুলে ধরা যায়। আমরা স্টার্টআপ কোম্পানির অনেক বড় মাথার সঙ্গে কথা বলেছি, যারা কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রত্যাশা করছে। জেনে নেব তাদেরই কিছু বক্তব্য..
FAME ভর্তুকির চালিয়ে যাওয়া
আসন্ন বাজেট প্রসঙ্গে Log9 উপকরণের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর অক্ষয় সিংহলের মতে, "আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেটে EV ইকোসিস্টেমের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা আশা করি, সরকার FAME ভর্তুকি EV রেট্রো ফিটমেন্ট কিটগুলিতে চালিয়ে যাবে৷ পাশাপাশি R&D সেগমেন্টে পাওয়ার ও ইভি প্রযুক্তি-সম্পর্কিত উন্নয়নের জন্য অনুদানের খবর থাকবে বাজেটে। এ ছাড়াও যারা স্থানীয় প্রযুক্তিতে ইভি তৈরি করবে তাদের কর্পোরেট করে ১০০ শতাংশ অ্যাডজাস্ট করা হোক।''
ইভি-র বাণিজ্যিক যানবাহন ক্রেতাদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা
এ প্রসঙ্গে ইট্রিও-র সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা দীপক এমভি বলেন "দেশে এখন ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি গতি পাচ্ছে। এই রকম একটা সময়ে সরকারের এর বাণিজ্যিক গাড়ি নির্মাণকারীরা যাতে ঋণের সাহায্য পায় সেই বিষয়টা দেখা উচিত।'' এর জন্য সরকারকে ইভির ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া উচিত বলে মনে করেন দীপক।
এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি ইট্রিওর সিইও। তাঁর মতে, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, ইভির ছোট যন্ত্রাংশ ও উপাদানগুলির উপর জিএসটি কর কম করা উচিত সরকারের। এতে ইভি প্রোডাকশনে সুবিধা হবে কোম্পানিগুলির। স্বাভাবিকভাবেই OEM দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ হতে পারে৷ কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য লজিস্টিক ও লাস্ট-মাইল ডেলিভারি সেগমেন্টে ইভির গ্রহণযোগ্যতা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই সরকারকে অবশ্যই দেশের ফ্লিট অ্যাগ্রিগেটরদের জন্য আইসি ইঞ্জিন থেকে ইভিতে সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তন করার জন্য অতিরিক্ত
সহায়তা ও অনুদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সবশেষে বলি যে B2B retrofitment (ICE to EV conversion)-এর ক্ষেত্রে আমরা আশা করি যে এই বাজেটে এই ক্ষেত্রকে FAME-II-এর আওতায় আনা হবে।