কলকাতা : নতুন কর কাঠামোয় আয়কর (Income Tax) ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৭ লক্ষ টাকা করার কথা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্ল্যাবেও কর কমানো হয়েছে। যাতে অবশ্য কোনও 'লাভ নেই' বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর কথায়, 'স্ল্যাবের নামে যে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে, তাতে কোনও লাভ নেই। পুরোটাই ক্ষতি।'  


সামনে লোকসভা ভোট (Loksabha Vote)। তার আগে মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হল আজ। কাজেই, এই বাজেটে দেশবাসীর মনজয় করতে সরকার যে বাজেটে একাধিক জনকল্যাণমূলক খাতে বরাদ্দের পদক্ষেপ নেবে, সে বিষয়ে আভাস আগেই দিয়ে রেখেছিল ওয়াকিবহাল মহল। সেইমতোই বাজেটে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।


তবে, একটা বড় অংশের মানুষের নজরে যে ছিল আয়কর ছাড়, সেকথা বলাইবাহুল্য। চাকুরিজীবীদের বড় স্বস্তি দিয়ে বাড়ানো হয়েছে আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা। নতুন কর কাঠামোয় বার্ষিক ৭ লক্ষ পর্যন্ত আয় করশূন্য। কর কমেছে ১৫ লক্ষ টাকা আয়েও। অপরিবর্তিত পুরনো আয়কর কাঠামো। নতুন কর কাঠামোয় বার্ষিক ৮ ও ৯ লক্ষ পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে করে ফায়দা ১২ থেকে ১৭ হাজার। ১২ থেকে ১৫ লক্ষের আয়ের ক্ষেত্রে করে ফায়দা ৩০ থেকে ৪৫ হাজার। এনিয়ে একাংশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও, অনেকেরই বাজেট ঘিরে আরও প্রত্যাশা ছিল।


কী বললেন মমতা ?


এই পরিস্থিতিতে বাজেট নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন মমতা। তাঁর মতে, বাজেটে আশার আলো নেই, অমাবস্যার অন্ধকার। এই বাজেট শুধু এক শ্রেণির মানুষের লাভের জন্য। ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ কমেছে বাজেটে। ঘটা করে উজ্জ্বলা প্রকল্পের ঘোষণা হয়েছিল। বাস্তবে উজ্জ্বলা প্রকল্পে কেউ গ্যাস পাননি। আজ তার কোনও অস্তিত্বও নেই। বাজেটে বেকারদের জন্য কোনও প্রস্তাব নেই। বেকারত্ব দূরীকরণের কোনও প্রস্তাব নেই। বাজেটে খাদ্যে ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য ছাড়া অন্য রাজ্যেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।নিজেদের সুবিধার জন্য এই বাজেট। আইসিডিএস কেন্দ্র তৈরির জন্য টাকার বরাদ্দ কমিয়েছে কেন্দ্র। আশাকর্মীদের জন্য বরাদ্দ কমেছে।


অন্যদিকে, এই বাজেট মধ্যবিত্তদের মনস্কামনা পূরণের বাজেট বলে মন্তব্য় করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণ হবে।


আরও পড়ুন ; 'অর্থনীতিকে গতিশীল রাখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,' প্রতিক্রিয়া দিলীপের