নয়াদিল্লি: মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর। প্রত্যাশা মতোই আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বাড়াল কেন্দ্রীয় সরকার। ৫ লক্ষ টাকা থেকে আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে ৭ লক্ষ টাকা হল। বুধবার বাজেট পেশ করে জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। নতুন ট্যাক্স রেটে, ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হবে না। ৩ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ আয়কর। ৬ লক্ষ থেকে ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ আয়কর। এখন ৫ লক্ষ পর্যন্ত কোনও আয়কর দিতে হয় না। এ বার সেটা বাড়িয়ে ৭ লক্ষ করা হল।


এ দিন নতুন কর কাঠামোর ঘোষণাও করেন নির্মলা। তিনি জানান, ২০২৩-'২৪ অর্থবর্ষে ৯ থেকে ১২ লক্ষ টাকা আয়ে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। ১২ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা আয়ে কর দিতে হবে ২০ শতাংশ। ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয়ে কর দিতে হবে ৩০ শতাংশ। সর্বোচ্চ করদাতাদের সারচার্জ কমানো হল। বেসরকারি ক্ষেত্রে  ছুটি বিক্রি করে ২৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে নয়া অর্থবর্ষে। এতদিন ৩ লক্ষ পাওয়া যেত।


এ বারের বাজেটে করছাড়ের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন আম নাগরিক। বর্তমানে ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করছাড় পাওয়া যায় (Tax Exemption Limit)। তা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তবে ৫ লক্ষ পর্যন্ত আয়ও আক্ষরিক অর্থে করমুক্তই। কারণ ২০২৩ সালে প্রস্তাবিত আয়কর আইনের ৮৭-এ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ৫ লক্ষ টাকা আয়ে  মেলে রেয়াত। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তির আয় যদি বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়, আয়কর রিটার্ন জমা দিয়ে ১২ হাজার ৫০০ পর্যন্ত রেয়াত মেলে। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন, বাড়িভাড়া, গৃহঋণের সুদ-সহ সব ছাড় মিলিয়ে যদি করযোগ্য আয় ৫ লক্ষ টাকার কম হয়, তাহলে কোনও কর দিতে হয় না।


বিগত কয়েক বছর ধরেই অর্থনৈতিক সঙ্কটের মেঘ যেমন ঘনিয়ে আসছিল, তেমনই অতিমারি শাঁখের করাত হয়ে নেমে আসে। তাতে কেনাকাটা কমে গিয়েছিল একধাক্কায় অনেকটাই। অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন। তাই করছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হলে মানুষ হাত খুলে খরচে আগ্রহী হবেন বলে আশাবাদী অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


 বর্তমানে ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় না। ৬০-৮০ বছর বয়সিরা ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে করছাড় পান। ৮০ ঊর্ধ্বরা করছাড়া পান ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে। তাই করছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়লে সাধারণের হাতে খরচের চাকা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।