ঢাকা: এবার গৌতম আদানির (Gautam Adani) সংস্থা থেকে বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ (Bangladesh)। শনিবার সেই নিয়ে কথা বলতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (PM Sheikh Hasina) সঙ্গে দেখা করলেন ভারতীয় শিল্পপতি। আলোচনার বিষয়? অবশ্য়ই ঝাড়খন্ডের গোড্ডা পাওয়ার প্লান্ট। এপ্রিল এবং জুন, দু'দফায় পুরোপুরি চালু হয়ে গিয়েছে ১৬০০ মেগাওয়াটের আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল গোড্ডা পাওয়াল প্লান্ট। ২০১৭-র প্রতিশ্রুতিমতো কী ভাবে এগোবে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রক্রিয়া? সেই নিয়ে আলোচনা করতেই এদিন সংক্ষিপ্ত ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন গৌতম আদানি। পরে নিজের অফিশিয়াল হ্যান্ডেল থেকে এই নিয়ে ট্যুইটও করেন।
পাওয়ার প্লান্ট সম্পর্কে...
ঝাড়খন্ডের গোড্ডা জেলার এই পাওয়ার প্লান্ট আদানি গোষ্ঠীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকা অনুসারী সংস্থা। ১৬০০ মেগাওয়াটের আলট্রা সুপার ক্রিটিকাল এই পাওয়ার প্লান্টটির প্রথম ইউনিট কাজ শুরু করে গত ২৬ এপ্রিল। দ্বিতীয় ইউনিটটি সক্রিয় হয়েছিল ২৬ জুন। আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড থেকে আগামী ২৫ বছর ধরে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে যাবে। এর জন্য নির্দিষ্ট 400 kV ট্রান্সমিশন সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে যা কিনা বাংলাদেশ গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত।
আরও যা...
এই পাওয়ার প্লান্টের প্রথম ইউনিটটি, ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। গত এপ্রিলে এই ইউনিটটি বাণিজ্যিক ভাবে পরিচালনার (Commercial Operation Test) জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় পাশ করে। দ্বিতীয় ইউনিটেরও একই ক্ষমতা। জুন মাসের শেষ দিকে BPDB এবং পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সেটিও যাবতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। অর্থাৎ মোটের উপর এই দুই ইউনিটই এখন চালু। সেক্ষেত্রে এই পাওয়ার প্লান্ট এখন ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। গোড্ডার এই প্লান্ট থেকে বাংলাদেশ যে বিদ্যুৎ পাবে, তা তাদের বিদ্যুৎ পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী করবে। প্রত্যেক বছর ৭ হাজার ২০০ মিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতা থাকার কথা এই প্লান্টের যা কিনা বাংলাদেশের বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, আশা দু'তরফেই। কোভিড পরিস্থিতিতেও ভারত ও বাংলাদেশের টিম যে ভাবে এই প্লান্ট তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে, সেই উদ্যোগকে এদিন কুর্নিশ জানান গৌতম আদানি।
আরও পড়ুন:'বিরোধীশূন্য হওয়াটা শাসককে অসুবিধেই করে' পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মুখ খুললেন শোভন