কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটের সময়, তিনি ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের জেলা সভাপতি। মাঝে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। ৫ বছর পর, তেইশের পঞ্চায়েতে ভোটে তিনি শুধুই নীরব দর্শক। তবে, গতবারের মতো, এবারও পঞ্চায়েত ভোটে ২০টি জেলা পরিষদই বিরোধী শূন্য় হওয়ার বিষয়টি এক্কেবারেই ভাল চোখে দেখছেন না শোভন চট্টোপাধ্য়ায়।
'সংশোধনের প্রস্তুতি নিলে এমনটা হতো না'
প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায় বললেন, 'বিরোধীশূন্য হওয়াটা শাসককে অসুবিধেই করে। জানালা, দরজা হল বিরোধীরা। সেই সুযোগটা চলে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেটা সুখকর নয়।' তিনি বললেন, এই সন্ত্রাস কাম্য় নয়। তা সংশোধনের প্রস্তুতি নিলে এমনটা হতো না।
রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন শোভনের
পঞ্চায়েতে ভোটে সন্ত্রাসের জন্য় বারবার রাজ্য় সরকার ও রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের যোগসাজোশের অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই প্রেক্ষাপটে বিরোধীদের সুরেই রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক।
'শান্তিরক্ষায় খামতি আছে কমিশনের'
প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায় আরও বলেন, 'তাড়াতাড়ি ভোট ঘোষণা হয়ে গেল। সময় পেল না দলগুলি। শান্তিরক্ষায় খামতি আছে কমিশনের। তাকে বুঝতে হবে, সরকারের হয়ে কথা বলতে গিয়ে, সরকারকেই কালি লাগিয়ে দিচ্ছি কি না! সরকারি দলকে ফেবার করতে গিয়ে, দলকে অস্বস্তিতে ফেলছি কি না!'
তৃণমূল সরকারের এক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক দফতরের মন্ত্রী, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তিনি। কিন্তু একুশের বিধানসভা ভোটের আগে সেই শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ই বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে সঙ্গে নিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। কিছুদিনের মধ্য়েই বিজেপি থেকে সরে আসেন শোভন-বৈশাখী। এরইমধ্য়ে, ভাইফোঁটায় মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বাড়িতে দেখা যায় শোভনকে।
তারপর বারবার তাঁর তৃণমূলে ফেরার জল্পনা জোরাল হলেও, এখনও অবধি দলহীনই রয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু, তা হলেও, একদা আদ্য়পান্ত রাজনীতিবিদ শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ও বিরোধী শূন্য় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধেই সওয়াল করলেন।
মাথা যন্ত্রণায় জেরবার? ঘরোয়া উপায়ে নিরাময় পাবেন কীভাবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial