নয়াদিল্লি: ভারতের বিরুদ্ধে সটান মামলা ঠুকল চিন। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় ভারতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে তারা। তথ্য ও যোগাযোগ সংক্রান্ত প্রযুক্তি সামগ্রীর উপর যে শুল্ক নির্ধারণ করেছে ভারত এবং আলোক-বিভব প্রযুক্তির উপর যে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, সেই নিয়েই মামলা দায়ের করেছে চিন। (India-China Relations)

Continues below advertisement

চিনের বাণিজ্যমন্ত্রক শুক্রবার এই মর্মে বিবৃতিও জারি করেছে। তাদের দাবি, নিজদের পণ্যের উপর ভারত যে হারে শুল্ক আরোপ করছে, যে পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছে, তাতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অন্যায্য সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে ভারতীয় শিল্প সংস্থাগুলি। এতে চিনের স্বার্থ যেমন ধাক্কা খাচ্ছে, তেমনই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিধিনিয়মও লঙ্ঘিত হচ্ছে। (World Trade Organisation)

চিনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারতের কাছে আবারও অনুরোধ, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করুক ওরা এবং অবিলম্বে এই অন্যায় আচরণ শুধরে নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।”  বিষয়টি নিয়ে দিল্লির সঙ্গে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে আলোচনায় বসতেও আবেদন জানিয়েছে তারা। সেই নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।

Continues below advertisement

এর আগে, অক্টোবর মাসেও ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিল চিন. সেবার বিদ্যুৎচালিত গাড়ির উপর ‘অন্য়ায্য ভর্তুকি’ নিয়ে ভারতেরদিকে আঙুল তুলেছিল তারা। তাদের দাবি ছিল, বিদ্যুৎচালিত গাড়ি এবং ব্যাটারির উপর যে ভর্তুকি দিচ্ছে ভারত, তাতে নিয়ম লঙ্ঘিত হচ্ছে। 

যে সময় ভারতের বিরুদ্ধে পর পর অভিযোগ জানাল চিন, তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ আমেরিকার ‘শুল্ক শাস্তি’র মোকাবিলা করতে গত কয়েক মাসে দুই দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়ায় বেশ কিছু রদবদল চোখে পড়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ককে দৃঢ় করতে একাধিক পদক্ষেপও করা হয়েছে ইতিমধ্যে। চিনা নাগরিকদের জন্য ভিসার বিধিনিয়মও শিথিল করেছে ভারত। সেই আবহে এই ধরনের অভিযোগ বোঝাপড়ায় ফের ফাটল ধরাতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম ধাপে অভিযোগ অনুযোগ নিয়ে শলা পরামর্শ করা হয়। সেই মতো ৬০ দিনের মধ্যে ঐক্যমত্য গড়ে ওঠার দরকার দুই দেশের মধ্যে। সাধারণত সেখানেই ঝামেলা মিটে যায়। তবে এক্ষেত্রে জল কতদূর গড়ায়, সেদিকে তাকিয়ে সকলেই। তবে চিন যে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় মামলা করেছে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি ভারত।