নয়া দিল্লি: ধীরে ধীরে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রবেশ করছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। এর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল দিল্লির একটি রেস্তোরাঁ। যেখানে খাওয়ার থেকে পেমেন্ট সবটাতেই ক্রিপ্টোকারেন্সির ছোঁয়া। রাজধানীর ওই অন্যতম ব্যয়বহুল রেস্তোরাঁতে শুরু হয়েছে ডিজিটাল থালি। Ardor 2.1 ওই রেস্তোরাঁর কর্ণধার সুভিত কালরা জানিয়েছেন, ক্রিপ্টো একটি মূলধারার বিষয় হয়ে উঠছে। এর মাধ্যমে পেমেন্ট করলে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত ছাড়ও দিচ্ছেন তাঁরা। 


বর্তমানে বিটকয়েন ব্যবহার করে সাধারণত অনলাইন গেম কিংবা লেনদেন চলে। বিশ্বের একাধিক দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন স্বীকৃত হলেও দীর্ঘদিন ধরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিল এর উপর। যদিও ২০২০ সালে বিটকয়েনকে বৈধ ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। 


এ প্রসঙ্গে সুভিত কালরা বলেন, এবার আর নগদ, কার্ড, পেটিএম কোনও কিছুরই ঝঞ্ঝাট থাকবে না। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমেই অনায়াসে লেনদেন হবে। এত গেল অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। কিন্তু তাই বলে খাওয়ারের থালায় ক্রিপ্টোকারেন্সি? দিল্লির এই রেস্তোরাঁটিতে নবতম সংযোজিত মেনু হল- বিটকয়েন টিক্কা, সোলানা ছোলে বাতুরে, পলিগন পিটা ব্রেড ফালাফেল, ইথেরিয়াম বাটার চিকেন এবং আরও অনেক কিছু। অর্থাৎ প্রতিটিতেই রয়েছে 'ক্রিপ্টো' ছোঁয়া। 


রেস্তোরাঁর কর্ণধারের কথায়, এই ডিজিটাল থালির দাম ট্যাক্স ছাড়া ১৯৯৯ টাকা। এই থালি অর্ডারও দিতে হবে অনলাইনে। মেনু রয়েছে ভিডিও মোডে। আছে QR কোড। অর্থাৎ কথাবার্তার (human interaction ) কোনও প্রয়োজন নেই। নিজে দেখে অর্ডার করুন, খেয়ে পেমেন্ট করুন। যদিও এটিকে একটি মজাদার পরীক্ষা বলেই বর্ণনা করেছেন তিনি। 


ইতিমধ্যে ১০০টি ডিজিটাল থালি বিক্রি হলেও ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কোনও পেমেন্ট হয়নি বলেই জানিয়েছেন সুভিত কালরা। তিনি এও জানান যে ভারতে এখনও ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রভাব তেমন আসেনি। অনেকের কোনও ধারণা নেই এই বিষয়টি নিয়েও। কিন্তু এই লেনদেন কতটা স্বচ্ছ? এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যেহেতু আমরা আমাদের ব্যালেন্স শীটে ক্রিপ্টো ধরে রাখতে পারি না, তাই যা কিছু পেমেন্ট আসে, তা ভারতীয় মুদ্রায় কনভার্ট করা হয়। আমরা কোনও আইনি জটিলতায় পড়তে চাই না। আমরা ক্রিপ্টো ক্রয় -বিক্রয় করছি না এবং তাদের থেকে লাভবানও হচ্ছি না। আমরা জানিও না আমাদের এই মজাদার বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কী হবে। পর্যাপ্ত সাড়া না পেলে বন্ধও হয়ে যাবে। এক দু সপ্তাহ পর সকলেও ভুলেও যাবে এই বিষয়টি।"