নয়াদিল্লি: রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় ভারতের উপর রুষ্ট তিনি। শুল্ক, জরিমানা, আরও শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করেছেন। কিন্তু আমেরিকা যে রাশিয়ার কাছ থেকে ইউরেনিয়াম ও সার কেনা অব্যাহত রেখেছে, তা নিয়ে ঠিক করে জবাবই দিতে পারলেন না আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এব্যাপারে তাঁর কিছু জানা নেই বলে যুক্তি দিলেন। (Donald Trump)

হোয়াইট হাউসে সমবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্স নিয়ে কথা বলছিলেন ট্রাম্প। সেখানেই ভারতের উপর শুল্ক-ঘোষণা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় ভারতের উপর শুল্ক, জরিমানা, আরও শুল্ক চাপানোর ঘোষণা করলেও, রাশিয়ার কাছ থেকে যে ইউরেনিয়াম, সার কেনা নিয়ে নিজের সরকারের অবস্থান সম্পর্কে কী বলবেন, জানতে চাওয়া হয়। (US India Relations)

এই প্রশ্ন শুনে কার্যতই অস্বস্তিতে পড়েন ট্রাম্প। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমাকে বিষয়টি দেখতে হবে।” অন্যায় ভাবে ভারতের উপর শুল্ক ও জরিমানার ঘোষণা করা হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিল দিল্লি। তার পরও একদিন আগে ভারতের উপর আরও শুল্ক চাপাোর ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ব্যবসাবাণিজ্যে আপত্তি জানালেও, আমেরিকা নিজে কোন যুক্তিতে রাশিয়ার থেকে জিনিস কিনছে, তার সদুত্তর দিতে পারেনি দেশের সরকার। (Tariff War)

নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনায় ভারতকে শাস্তিপ্রদানের ক্ষেত্রে আমেরিকা এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যে দ্বিচারিতা করছে, আগেই তা নিয়ে খোলাখুলি মন্তব্য করেছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক।  বিদেশমন্ত্রকের দাবি, আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থা এখনও রাশিয়ার কাছ থেকে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লুওরাইড কিনে চলেছে, যা পরমাণু শক্তি, বিদ্যুৎচালিত গাড়ি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি, রাশিয়ার থেকে সার এবং রাসায়নিকও কিনছে আমেরিকার বিভিন্ন সংস্থা। 

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের উপর অন্যায় চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিদেশমন্ত্রক। তবে ট্রাম্প এখনও নিজের অবস্থানেই অনড়। আগেই ২৫ শতাংশ শুল্ক, সেই সঙ্গে জরিমানার ঘোষণা করেছিলেন। মঙ্গলবার ভারতের উপর আরও শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। ২৪ ঘণ্টা সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন। রাশিয়ার থেকে তেল কিনে ভারত ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মদত জোগাচ্ছে বলে দাবি তাঁর।