India US Relation: মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US President) পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) আসতেই চিন্তা বাড়ছে বিশ্বের। ভারতকে আমেরিকার 'বন্ধু দেশ' বললেও শুল্ক আরোপ থেকে বাদ পড়বে না নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একবার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এই ট্যারিফ রুখতে কূটনৈতিকভাবে প্রস্তুত ভারত। কী করবেন মোদি (PM Modi) ?  


কোন কোন দেশ ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের রাডারে


ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডা, চিন ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন। ভারত এখনও পর্যন্ত ট্রাম্পের এই শুল্ক বৃদ্ধির বিষয় অনেকাংশে এড়াতে পেরেছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ভারত কি এই হুমকি থেকে নিরাপদে থাকতে পারবে নাকি এর মোকাবিলায় কিছু কূটনৈতিক ব্যবস্থা আছে? জেনে নিন এখানে।


 মার্কিন শুল্ক এড়াতে ভারত কী করবে
ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি থেকে রক্ষা পেতে মূল হাতিয়ার ভারতের বিপুল পরিমাণ রফতানি বাণিজ্য। একদিকে, চিন ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলি প্রযুক্তি ও উত্পাদন খাতে মার্কিন শিল্পের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে। অন্যদিকে ভারত ফার্মাসিউটিক্যালস, অটো কম্পোনেন্টস, রাসায়নিক, টেক্সটাইল এবং রত্ন-এর মতো জিনিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করে। যেগুলির সঙ্গে বিশ্ববাজারে মার্কিন শিল্পের কোনও সম্পর্ক নেই।


ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময় এই বিষয়ে ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনের (এফআইইও) ডিরেক্টর জেনারেল অজয় ​​সাহাই বলেছেন, "ভারত মার্কিন শুল্ক আরাপে কম প্রভাবিত হবে। কারণ আমরা সাধারণত মার্কিন কোম্পানিগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করি না।"


আমেরিকা ভারতকে ভয় দেখাতে পারে
যে সব সেক্টরে ভারত পা রেখেছে, সেখান থেকে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর কোনও হুমকি পাওয়ার আশঙ্কা নেই। এই কারণে শুল্ক আরোপের সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে গেছে। তিনি আরও বলেন, আমেরিকা ভারতকে শুল্ক আরোপের হুমকি দিতে পারে। কিন্তু শুল্ক আরোপ করবে না। এই ভয়ের সুযোগ নিয়ে ভারতীয় বাজারে আমেরিকান পণ্য ও পরিষেবাগুলি আরও আগ্রাসী ভূমিকা দেখাতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ভারত অভ্যন্তরীণ স্বার্থ বিসর্জন না দিয়ে উত্তেজনা কমাতে বেছে বেছে শুল্ক হ্রাস করে ভারসাম্য বজায় রাখছে। বাজেটে সেই নমুনা পেয়েছি আমরা।


ভারত-মার্কিন সম্পর্কের কী অবস্থা
ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনও বেশ ভাল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প নিয়মিতভাবে তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কৌশলগত গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। বিশেষ করে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও নিরাপত্তার মতো ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে অনেক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।


ইতিমধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। যাতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও ক্রমাগত সহযোগিতা করছে।  এটি এখনও একটি সংবেদনশীল সমস্যা রয়ে গেছে। বর্তমানে উভয় দেশই এটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, যাতে দুই দেশের সম্পর্ক ব্যাপক বাণিজ্য সম্পর্কের ওপর প্রভাব না ফেলে।


ট্রাম্প ব্রিকস দেশগুলির উপর 100 শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যেখানে ভারতের নাম এখনও আসেনি। এটি প্রমাণিত যে, ভারত-মার্কিন পারস্পরিক বিশ্বাস ও কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলির কারণে শুল্কের হুমকির বাইরে রয়েছে দেশ।


Bangladesh Crisis: এবার নিজের দেশেই বিক্ষোভের মুখে মহম্মদ ইউনূস, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রতিবাদ