নয়াদিল্লি: স্টার্টআপ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কাছে ত্রাতা হয়ে উঠেছিল। কিন্তু এমন মুখ থুবড়ে পড়ল যে আর ওঠার ক্ষমতা নেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের (Silicon Valley Bank)। তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে আমেরিকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শীঘ্রই তা নিলাম করে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। সেই আবহে সিলিকন ভ্য়ালি ব্য়াঙ্ক কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করলেন টেসলা কর্ণধার ইলন মাস্ক (Elon Musk)। 


২০০৮ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এত বড় কোনও ব্যাঙ্কের এমন বিপর্য় ঘটল


শুক্রবার সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০০৮ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এত বড় কোনও ব্যাঙ্কের এমন বিপর্য় ঘটল। এর পরই রেজর সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার মিন-লিয়াং ট্যাং পরামর্শ দেন, ট্যুইটারের উচিত সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক কিনে নেওয়া এবং তার পর সেটিকে ডিজিটাল ব্যাঙ্কে পরিণত করা। 


ঘটনাচক্রে ট্যাংয়ের এই পরামর্শ চোখে পড়ে মাস্কের। ট্যুইটারে জবাবও দেন তিনি। মাস্ক লেখেন, 'বিষয়টি নিয়ে ভাবা যেতেই পারে'। তাতেই সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের মালিকানা মাস্কের হাতে ওঠা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ট্যুইটার কেনা ইস্তক এমনিতেই খবরের শিরোনামে রয়েছেন মাস্ক। সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক নিয়ে তাঁর এই হালকা সুরের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শুরু করেছেন অনেকেই।


আরও পড়ুন: Silicon Valley Bank: একদিনে তুলে নেওয়া হয় ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটি! ধরাশায়ী সিলিকন ভ্য়ালি ব্য়াঙ্ক


সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক থেকে ৪২০০ কোটি ডলার তুলে নেন গ্রাহকরা


শেয়ার বাজারে ৬০ শতাংশ দর পড়ে যাওয়ার পরই সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের ঝাঁপ ফেলে দেয় আমেরিকার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কার্যত সব শেষ হয়ে যায়। হুড়মুড়িয়ে সকলে বিনিয়োগ তুলে নেওয়াতেই এত বড় বিপর্যয় বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। কারণ বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজার যখন রক্তাক্ত হচ্ছে, সেই সময় সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক থেকে ৪২০০ কোটি ডলার তুলে নেন গ্রাহকরা, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা। এই ঘটনা স্টার্ট আপগুলির জন্য অস্তিত্ব সঙ্কটের বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।


সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্কের হাই-প্রোফাইল গ্রাহক-তালিকায় ছিল শপিফাই, জিপরিক্রুটারের মতো সংস্থা। এই বিপর্যয়ের প্রভাব স্টার্টআপ তো বটেই, ঋণতাদা সংস্থাগুলিকেও প্রভাবিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।