Cognizant Package: আইটি সেক্টরে কম বেতন নিয়ে এখন চর্চা তুঙ্গে। সম্প্রতি আইটি সংস্থা কগনিজ্যান্টের একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে কর্মীর বেতন ২১ হাজার দেখেই সমাজমাধ্যমে শুরু হয় ট্রোল (Cognizant Package)। ফ্রেশারদের ২.৫ লাখের প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে, এটা নিয়েই শুরু হয় চর্চা। অনেকেই বলেন যে আজ থেকে ২০ বছর আগেও যে প্যাকেজ (Employee Salary) দেওয়া হত, আজও একই প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে ফ্রেশারদের। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এক টেক ব্যবসায়ী এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে একজন ফ্রেশারকে (IT Sector Salary) মাসে ২০ হাজার টাকা দেওয়াও একটা বড় অর্থধ্বংস। তারা ঠিক করে কোডিংও লিখতে পারে না।


বেতনের বদলে ট্রেনিং স্টাইপেন্ড বলা উচিত


বৎসল সাংভি নামের একজন ব্যবসায়ী সম্প্রতি তাঁর সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, 'ফ্রেশারদের কাজের ক্ষেত্রে কোনও গুণগত মান বজায় থাকে না। কগনিজ্যান্টের মত সংস্থা ফ্রেশারদের এত টাকা বেতন দিয়ে খারাপ কাজ কিছু করছে না।' তবে তিনি জানিয়েছেন যে এই টাকাকে আমরা বেতন না বলে ট্রেনিং স্টাইপেন্ড বলতে পারি। আর এই টাকা নিতে যদি কারও সমস্যা থাকে, তাহলে তিনি অন্যত্র চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনার যদি ক্ষমতা থাকে, দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি অনেক চাকরি পাবেন। তিনি রূঢ়ভাবেই বলেন যে আমরা আসলে চাই ফ্রি মানি, কাজ না করেই টাকা। বাস্তব জগত সম্পর্কে কোনও ধারণাই আমাদের নেই।


সমাজমাধ্যমে চলছে তীব্র বিরোধিতা


সাংভির এই পোস্টের তীব্র বিরোধিতা করেছেন নেটিজেনরা। নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন যে ফ্রেশারদের নিয়ে অভিযোগ করার বদলে সেই সংস্থাগুলি তাদের কলেজে পড়ার সময় থেকেই কেন তাদের প্রশিক্ষণ করায় না। এতে ছেলে-মেয়েদের সুবিধের থেকেও বেশি সুবিধে হবে সংস্থারই। মানুষজন বেঙ্গালুরুতে জীবনযাপনের খরচের কথাও তুলে ধরেছেন। সাংভিকে কটাক্ষ করে জনৈক নেটিজেন লিখেছেন যে তিনি তাহলে নিজে বেঙ্গালুরুতে ২০ হাজারের বেতনে কেন থেকে দেখাচ্ছেন না ! আর এই বেতন আদপেই ন্যূনতম বেতন আইনের বিরুদ্ধে। মুদ্রাস্ফীতি আকাশছোঁয়া, আর আজও তাঁর মত মানুষেরা ২০ হাজার টাকায় কর্মী নিয়োগের কথা ভাবছেন।


কগনিজ্যান্টকে ঘিরেই এই চর্চা, তর্ক-বিতর্ক শুরু হল


বেতন নিয়ে এই বিতর্কের সূত্রপাত মূলত কগনিজ্যান্টের একটি নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি থেকেই। এখনও আইটি সেক্টরের কোনও চাকরি শুরু হয় ৩.৫ থেকে ৪ লাখের প্যাকেজ নিয়ে। আর কগনিজ্যান্ট এই লেভেল আরও নামিয়ে এনেছে। কগনিজ্যান্টের এই প্যাকেজের চরম সমালোচনা করেছেন মানুষজন। অনেকেই বলেছেন যে গাদা গাদা টাকা ঘরভাড়া দিয়ে থেকে কেবল চা আর ম্যাগি খাওয়ারই টাকা বেঁচে থাকে। কেউ কেউ আবার চাকরির পরে রাস্তার ধারের স্টল দিতেও পরামর্শ দিয়েছেন।


আরও পড়ুন: Job Layoff: এবার কর্মী ছাঁটাই শুরু এই সংস্থায়, সঙ্কটে ৩৩ হাজার কর্মীর চাকরি