নয়া দিল্লি: ইপিএফে জমানো টাকার আংশিক তোলার নিয়ম আরও সহজ করল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও। এখন থেকে টাকা তোলা যাবে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। ইপিএফ গ্রাহকদের সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত। 

Continues below advertisement

এত দিন শিক্ষা ও বিয়ের প্রয়োজনে তিন বার টাকা তোলা যেত। নয়া নিয়মে যথাক্রমে তা হয়েছে দশ ও পাঁচ বার। আগে টাকা তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতি কী, তা নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করতে হত, যারফলে অনেক সময়েই আবেদন বাতিল হয়ে যেত। তা নিয়ে পাল্টা অভিযোগও থাকত। 

তবে এখন থেকে বিশেষ পরিস্থিতিতে টাকা তোলার ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট কারণ দর্শাতে হবে না। নতুন নীতি সংক্রান্ত বিবৃতি জানানো হয়েছে, সব সময় ইপিএফ অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ২৫ শতাংশ অর্থ রাখতে হবে। চাকরি করতে হবে অন্তত এক বছর। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যর সভাপতিত্বে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টের ২৩৮তম সভায় ইপিএফ নিয়ে এই উদারীকরণ নীতি নেওয়া হয়েছে।

Continues below advertisement

ইপিএফ আংশিক উত্তোলনের নিয়মগুলিকে তিনটি সহজে ভাগে পুনর্গঠিত করা হয়েছে 

অপরিহার্য চাহিদা/ এসেন্সিয়াল নিড- (অসুস্থতা, শিক্ষা, বিবাহ), আবাসন চাহিদা এবং বিশেষ পরিস্থিতি। এটি পূর্ববর্তী ১৩টি পৃথক নিয়মের পরিবর্তে সামগ্রিক প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ এবং স্বচ্ছ করবে।  

সদস্যরা এখন যোগ্য প্রভিডেন্ট ফান্ড ব্যালেন্সের ১০০ শতাংশ পর্যন্ত তুলে নিতে পারবেন। যার মধ্যে কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা উভয়ের অবদানই অন্তর্ভুক্ত থাকবে। শিক্ষা-সম্পর্কিত উত্তোলনের সীমা ১০ বার এবং বিয়ের জন্য পাঁচবার পর্যন্ত উন্নীত করা হয়েছে। যা আগের নিয়মের থেকে আলাদা। কারণ আগের নিয়মে, দু'ক্ষেত্রেই মাত্র ৩ বার উত্তোলনের সম্মিলিত সীমা ছিল।

আংশিক প্রত্যাহারের জন্য যোগ্য অর্থাৎ আংশিক টাকা তুলে নেওয়ার জন্য যোগ্যতার মাপকাঠিকে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম পরিষেবার সময়কাল পূর্বের বিভিন্ন সময়সীমার তুলনায় সমানভাবে ১২ মাসে কমিয়ে আনা হয়েছে।                                                       

সদস্যদের এখন তাঁদের অবসরকালীন তহবিল সংরক্ষণ এবং ইপিএফও-এর উচ্চ সুদের হার ৮.২৫% বার্ষিক উপার্জন অব্যাহত রাখার জন্য ন্যূনতম ২৫ শতাংশ অবদান রাখতে হবে। পুরো প্রক্রিয়াটি নথি-মুক্ত এবং ১০০ শতাংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্পত্তি হবে। উপরন্তু, দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়কে উৎসাহিত করার জন্য পেনশন উত্তোলনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।