বিনিয়োগের বিষয়ে অনেকেরই ভরসা এখনও ফিক্সড ডিপোজিটই। আসলে অনেক বেশি মুনাফা দেওয়া বিনিয়োগের উপায় থাকলেও অনেকেই ফিক্সড ডিপোজিট অর্থাৎ FD-তে বিনিয়োগ করাকে বেশ নিরাপদ মনে করেন। FD সবসময় তাঁদের প্রথম পছন্দ যাঁরা ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতে চান এবং নিজেদের টাকার স্থিতিশীল রিটার্ন চান। 

Continues below advertisement

এতে আপনি নির্দিষ্ট সুদের হারের সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে গ্যারান্টেড রিটার্ন পান। এই কারণেই চাকরিজীবী থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি পর্যন্ত FD-কে নির্ভরযোগ্য বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচনা করেন। তবে অনেকেই জানেন না যে FD-তে সর্বাধিক কত টাকা জমা করা যেতে পারে এবং এর সীমা কত। চলুন, পুরো হিসাবটা বুঝি।

FD-তে কত টাকা জমা করা যেতে পারে?

অনেকেরই জানা নেই FD-তে কত টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে।  ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এবিষয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম আছে কি? তথ্য বলছে,  RBI FD-তে বিনিয়োগের জন্য কোনও সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেনি। অর্থাৎ, আপনি চাইলে লক্ষ লক্ষ বা কোটি কোটি টাকা পর্যন্ত FD করতে পারেন। অনেক ব্যাঙ্ক একজন গ্রাহককে আলাদা FD অ্যাকাউন্ট খোলারও অনুমতি দেয়। 

Continues below advertisement

তবে, ব্যাঙ্কিং সুরক্ষার জন্য, প্রতিটি গ্রাহক ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন অর্থাৎ DICGC-এর অধীনে শুধুমাত্র ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা পান। এর মধ্যে মূল পরিমাণ এবং সুদ উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। কোনও কারণে যদি ব্যাঙ্ক ডিফল্ট করে, তাহলে আপনার টাকা এই পরিমাণ পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে।

FD-এর সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু জরুরি বিষয়

প্রতিটি ব্যাঙ্কে FD-এর নিয়ম কিছুটা আলাদা। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন জমার পরিমাণ ১০০০ থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যে হয়। FD-এর মেয়াদ ৭ দিন থেকে ১০ বছর পর্যন্ত নির্ধারণ করা যেতে পারে। ম্যাচিউরিটির আগে FD ভাঙলে, ব্যাঙ্ক জরিমানা বা কম সুদের হার ধার্য করে। সুদের হার ব্যাঙ্ক এবং জমার মেয়াদের উপর নির্ভর করে। প্রবীণ নাগরিকদের এফডির উপর সাধারণত বেশি সুদ পাওয়া যায়।

FD-তে প্রাপ্ত সুদ আপনার ইনকাম ট্যাক্স স্ল্যাব অনুযায়ী ট্যাক্স যোগ্য। যদি সুদের আয় ৪০,০০০ টাকার বেশি হয়, প্রবীণ নাগরিকদের জন্য তা ৫০,০০০ টাকার বেশি হলে ব্যাঙ্ক TDS কাটে। ট্যাক্স সেভিং FD-তে বিনিয়োগ করলে ইনকাম ট্যাক্স-এর ধারা 80C-এর অধীনে ট্যাক্স ছাড়ও পাওয়া যায়।