নয়াদিল্লি: বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত আইনভঙ্গের অভিযোগে অন্যতম বৃহত্তম অনলাইন রিটেল ব্র্যান্ড ফ্লিপকার্ট ও তার প্রতিষ্ঠাতাদের নোটিস দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। একই অভিযোগে আরও ৯ জনকে নোটিস জারি করা হয়েছে।
বিদেশি বিনিয়োগ আইন ভঙ্গের অভিযোগে কেন তাদের ওপর ১০,৬০০ কোটি টাকার জরিমানা ধার্য করা হবে না, সেই জবাব চেয়ে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে।
ইডি সূত্রের খবর, ২০০৯ ও ২০১৫ সালে বিদেশি বিনিয়োগ গ্রহণ করার সময় ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে।
ইডি-র তরফে ১০,৬০০ কোটি টাকার কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করা হয়েছে ফ্লিপকার্ট, সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সচিন বনশল, বিনি বনসল ও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আরও ৯ জনকে।
৯০ দিনের মধ্যে ওই নোটিসের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনলাইন রিটেল ব্র্যান্ড ও তার প্রতিষ্ঠাতাদের। এদিন ফ্লিপকার্টের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগ আইন সহ ভারতের যাবতীয় আইন ও বিধি মেনে চলে ফ্লিপকার্ট। ২০০৯-২০১৫ সালের যে বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে নোটিসে, সেই নিয়েও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করব আমরা।
বিদেশি বিনিয়োগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বেশি কিছুদিন যাবৎ ফ্লিপকার্ট ও আমাজনের মতো ই-কমার্স সংস্থার ওপর নজর রাখছিল ইডি। আইন অনুযায়ী, কোনও মাল্টি-ব্র্যান্ড রিটেল সংস্থা কোনও অবস্থাতেই তৃতীয় পক্ষ বিক্রেতাকে তাদের ওয়েবসাইটে পৃথক জায়গা দিতে পারেনা।
ইডি সূত্রের খবর, ফ্লিপকার্টের বিরুদ্ধে আইন ভেঙে বিদেশি বিনিয়োগ তোলার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি, ডব্লিউএস রিটেল নামে সংস্থার এক সহযোগী ফ্লিপকার্টের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তাদের পণ্য সরাসরি ক্রেতাদের বিক্রি করে। যা আইনবিরুদ্ধ বলেই জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে।
২০১৮ সালে ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে ফ্লিপকার্টের একটি বড় অংশ কেনে ওয়ালমার্ট। সেই সময় সচিন বনসল তাঁর গোটা অংশ বিক্রি করে দেন। বিনি বনসল অল্প অংশ ধরে রাখেন।
ইডি নোটিসের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত ওয়ালমার্টের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।