Google Search Fraud: আসল তথ্য খুঁজতে গিয়ে পড়তে পারেন নকল প্রতারকদের হাতে। গুগল সার্চ ইঞ্জিনও দিতে পারে এরকমই ভুয়ো তথ্য। সেই ক্ষেত্রে নকল ওয়েবসাইটকে আসল ভেবে ফাঁদে পড়েন ব্যবহারকারীরা। ব্যক্তিগত তথ্য ঠকবাজদের হাতে যেতেই খালি হতে পারে আপনার অ্যাকাউন্ট। কীভাবে বুঝবেন, কাস্টমার কেয়ারের আসল-নকল।


Cyber Fraud: কীভাবে আপনাকে খুঁজে পায় প্রতারকরা ?
এই ক্ষেত্রে গুগলে স্বাস্থ্য পরিষেবা, ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও টেলিকম পরিষেবা সংক্রান্ত ওয়েবসাইট তৈরি করে জালিয়াতরা। মূল ওয়েবসাইটের থেকে এদের ওয়েবসাইটে একই রকম দেখতে হয়। তবে সেখানে পরিষেবা সংক্রান্ত নম্বর বা সাইট লিঙ্ক বদেলে দেয় ঠগেরা। যার ফলে আসল ভেবে ওই নকল ওয়েবসাইটের লিঙ্কেই ক্লিক করে বসেন ব্যবহারকারী। এমনকী ভুয়ো নম্বরে ফোন করে নিজেই প্রতারকদের গোপন নথি তুলে দেন। সেই সুযোগ নিয়েই আপনার অ্যাকাউন্ট খালি করে জালিয়াতরা।


Google Search Fraud: গুগল সার্চে সবার ওপরে কী করে আসে জাল ওয়েবসাইট ?
এই ক্ষেত্রে 'সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ' (SEO) প্রযুক্তি ব্যবহার করে নকল ওয়েবসাইট প্রথমের দিকে নিয়ে যায় সাইবার হ্যাকাররা। ফলে আসল 
ব্যাঙ্ক বা হাসপাতালের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি আমরা জাল ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়ি। পরে যার মাসুল গুণতে হয় ব্যবহারকারীদের।


Fraud Customer Care: কীভাবে কাজ করে এই প্রতারণাচক্র ?
প্রথমত, প্রতারকরা ডার্ক নেটের সাহায্যে নাগাল পাওয়া যায় না এমন সিম কার্ড কেনা শুরু করে।
জাল আইডি ব্যবহার করে এই সিম কার্ড কেনে ঠগবাজরা। ফলে ধরা পড়ার চিন্তা থাকে না জালিয়াতদের।
এরপরই শুরু হয় আসল কাজ। নিজেদেরকে কাস্টমার কেয়াক কলার হিসাবে ব্যবহারকারীদের কাছে জাহির করে প্রতারকরা।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO)কৌশল সহ ওয়েবসাইট ও বিজ্ঞাপনগুলি ব্যবহার করে এই জাল নম্বরগুলিকে কোম্পানি ও পরিষেবা প্রদানকারীর কাস্টমার কেয়ার নম্বর হিসাবে দেখানো শুরু হয়।
সেই ক্ষেত্রে অনেক গ্রাহক ইন্টারনেটে কোনও কোম্পানির কাস্টমার কেয়ার নম্বর খোঁজার সময় এই নম্বরগুলি ডায়াল করে বসেন।
এসব ভুয়ো কল সেন্টারে যোগাযোগ করে প্রতারকদের ফাঁদে পা দেন ব্যবহারকারীরা।
সেই থেকে শুরু হয় গ্রাহকদের তথ্য হাতানোর চেষ্টা।
একবার গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলে ওটিপি নিতে পারলেই কেল্লা ফতে। সেই ক্ষেত্রে আর্থিক তথ্যের পাশাপাশি স্ক্যামাররা গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণেরও লাগাল পেয়ে যায়।
অনেক সময় বিনামূল্যে কিছু উপহার দেওয়ার নাম করেও হাতিয়ে নেওয়া হয় এটিএম কার্ড ছাড়াও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অর্থ। 


Cyber Fraud: এর থেকে রক্ষা পাবেন কী করে ?
ওয়েবসাইটে দেওয়া নম্বরে ফোন করার আগে সাইটের লিঙ্ক ভালভাবে পড়ে নিন। এতে একদম বাঁ দিকে তালা চিহ্ণ আছে নাকি দেখুন। তাল থাকলে আপনার ওয়েবসাইট সুরক্ষিত।
ওয়েবসাইটে রিভিউ দেখে নিন। সেই ক্ষেত্রে রিভিউ বা কমেন্ট পড়ে ওয়েবাসইট স্মপর্কে আপনার ধারণা হয়ে যাবে।
কাস্টমার কেয়ার ওটিপি বা কোনও ব্যাঙ্কের বিবরণ চাইলে বুঝে যাবেন এরা আসল লোক নয়। সেই ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের পাসবুকে দেওয়া ওয়েবসাইট বা কাস্টমার কেয়ার কোনও নম্বর থাকলে দেখুন। কোনও ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি আপনার থেকে অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত কোনও নতি জানতে চাইবে না।
কাস্টমার কেয়ারের নামে কোনও প্রতিনিধি কোনও লিঙ্ক পাঠালে তাতে ক্লিক করবেন না।  


আরও পড়ুন: RD Rates: রেকারিং ডিপোজিটেও ৮ শতাংশ পর্যন্ত সুদ, এই ব্যাঙ্কগুলি দিচ্ছে দারুণ সুবিধা