CryptoCurrency:  সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন অর্থাৎ সিবিআই মঙ্গলবার সারা দেশের মোট ৬০টি জায়গায় হানা দিয়েছে এবং তল্লাশি চালিয়েছে। ৬৬০০ কোটির ক্রিপ্টোকয়েন জালিয়াতিকে ঘিরে চলছে তল্লাশি। আধিকারিকরা জানিয়েছেন গেইনবিটকয়েন জালিয়াতির (GainBitcoin Scam) খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই তল্লাশি শুরু হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে একটি বিবৃতিতে, বিভিন্ন শহরে এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। দিল্লি এনসিআর, পুনে, চণ্ডীগড়, নানডেড, কোলাপুর, বেঙ্গালুরুতে এই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের (Cryptocurrency Scam) বাড়ি সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় হানা দিয়েছিল সিবিআই।


অনেকগুলি প্ল্যাটফর্মের নেটওয়ার্ক একত্রে এই জালিয়াতি পরিচালনা করেছিল বলে জানা গিয়েছে। এই জালিয়াতির মূল কেন্দ্রে ছিল ফ্ল্যাগশিপ ওয়েবসাইট www.gainbitcoin.com। আর এই ওয়েবসাইট পরিচালনার মাধ্যমে জালিয়াতির মাথা হিসেবে সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন অমিত ভরদ্বাজ এবং তার ভাই অজয় ভরদ্বাজ। কিছুদিন আগে মৃত্যু হয়েছে অমিত ভরদ্বাজের। জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে এই ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছিল, ভেরিয়েবলটেক পিটিই লিমিটেড সংস্থার নাম নিয়ে এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জালিয়াতি এবং প্রতারণা করা হত।


মূলত এর মাধ্যমে মানুষকে, বিনিয়োগকারীদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত অল্প বিনিয়োগে মোটা টাকা উপার্জনের। বিটকয়েনে বিনিয়োগে প্রতি মাসে ১০ শতাংশ রিটার্নের প্রলোভন দেওয়া হত এই প্ল্যাটফর্মে। আর টানা ১৮ মাস ধরে এই রিটার্ন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হত। আর বিনিয়োগকারীদের নির্দেশ দেওয়া হত বাইরের এক্সচেঞ্জ থেকে এই কয়েন কিনে এই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করতে। প্ল্যাটফর্ম ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ক্লাউড মাইনিং কন্ট্রাক্ট স্বাক্ষরিত হত, এমনটাই জানিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এই মডেল আদপে একটি মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ের ধাঁচ অনুসরণ করে প্রতারণা করা হত, পিরামিড স্কিমের লোভ দেখানো হত যেখানে আরও বেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে এলে পেমেন্ট পাওয়া যেত অনেক বেশি।


সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, 'প্রথমদিকে বিটকয়েনে এভাবে বিনিয়োগ করে প্রচুর পেমেন্ট মিলত বিনিয়োগকারীদের আর তাতেই তাদের লোভ বেড়ে যেত। আর তারপর ২০১৭ সাল থেকেই ধীরে ধীরে এই প্ল্যাটফর্মগুলি সম্পর্কে অভিযোগ জমা হতে থাকে'। জম্মু কাশ্মীর থেকে দিল্লি, মহারাষ্ট্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ বহু রাজ্যে এই প্রতারণা ঘিরে বহু এফআইআর দায়ের হয়েছে। সিবিআইয়ের সাম্প্রতিক তল্লাশির সময় আধিকারিকরা বহু ক্রিপ্টো ওয়ালেট বাজেয়াপ্ত করেছেন, ডিজিটাল ডিভাইসও বেশ কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Private School Fees: বছরে ৩০ শতাংশ হারে বেতন বাড়াচ্ছে এই শহরের স্কুলগুলি, খরচ জোগাতে নাজেহাল অভিভাবকরা; অভিযোগ দায়ের