নয়াদিল্লি: ভারতে অত্যাধুনির সৌর ও বায়ুচালিত পুনর্নবীকরণযোগ্য ১.৬৯ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলির জন্য আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কগুলির একটি কনসোর্টিয়াম থেকে ৯,৮০০ কোটি টাকার ঋণ পেল গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড (এজিইএল)। 
কোম্পানির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, তাদের নির্মীয়মান পুনর্নবীকরণ প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাগুলির একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে ঋণ প্যাকেজের জন্য সমঝোতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে।  


চুক্তি অনুসারে, ১২ টি আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্ক- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্ক, ইনটেসা সানপাওলো এসপিএ, এমইউএফজি, সুমিটোমো মিটসুই ব্যাঙ্কিং কর্পোরেশন, কোঅপারেটিভ রোবোব্যাঙ্ক ইউএ, ডিবিএস ব্যাঙ্ক লিমিটেড, মিজুহো ব্যাঙ্ক, বিএনপি পরিবাস, বার্কলে ব্যাঙ্ক পিএলসি, ডিউটচে ব্যাঙ্ক এজি, সিমেন্স ব্যাঙ্ক জিএমবিএইচ ও আইএনজি ব্যাঙ্ক এনভি আদানি গোষ্ঠীকে এই সুবিধা দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছে। ভারতে এটাই হবে প্রথম সার্টিফায়েড গ্রিন হাইব্রিড প্রোজেক্টের জন্য ঋণ। 



এই ঋণ প্রাপ্তির ফলে এজিইএল-এর নির্মীয়মান প্রকল্পের জন্য পুরোমাত্রায় তহবিল যোগানের কৌশল সবল হল এবং তা উৎপাদন ক্ষমতা ২০২৫-এর মধ্যে ২৫ গিগাওয়াট পর্যন্ত বাড়ানোর লক্ষ্যের ক্ষেত্রেও তা সহায়ক হবে। 
এই ঋণ চুক্তি সম্পর্কে এজিইএলের সিইও বিনীত জৈন বলেছেন, পুনর্নবীরণ ক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনা রূপায়ণের ক্ষমতার স্বীকৃতি আরও একবার মিলল। স্বল্প ব্যয়বহুল গ্রিন ইলেকট্ন উৎপাদনের ব্যাপারে আমরা দায়বদ্ধ। যে গতি ও মাত্রায় এই যাত্রা শুরু করেছি, এতে এই পথে যাত্রার পথ আরও সুগম করবে।  বিশ্বে পুনর্নবীকরণ প্রল্পপে বৃহত্তম হয়ে ওঠার লক্ষ্য আমাদের। এই লক্ষ্যে তহবিল সম্পদের গভীরতা ও বৈচিত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 


জৈন বলেছেন, এই সুবিধা ব্যাঙ্কগুলির মূলধন পুনর্ব্যবহারযোগ্যর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে এবং ওই একই মূল ধন এজিইএলের ভবিষ্যত প্রকল্পের জন্য পাওয়া যাবে। এই ধরনের সুবিধা ২০২৫-এর মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে। 


 


একটি মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মারকোম ক্যাপিটাল চলতি আর্থিক বছরে আদানি গ্রুপকে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্পদের মালিক হিসেবে পয়লা নম্বর আখ্যা দিয়েছে। 
গত এক বছরে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ একলাফে ১৬.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে পৌঁছে গিয়েছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। সম্প্রতি, একটি বিদেশি সংস্থার সমীক্ষা চালানো বিলিয়নেয়ার সূচকে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।