কলকাতা: পৌষ মাস পড়ার আগে অনেকেই শুভ কাজ সেরে রাখতে চান। সেই সঙ্গে সোনা কেনার মতো শুভ কাজও অঘ্রাণের মধ্যেই সেরে রাখেন অনেকে। অঘ্রাণ শেষ হতে বেশি দেরি নেই। তাই এখন থেকেই সোনা কিনতে তুঙ্গে থাকবে ব্যস্ততা। এইসময় সোনার দোকানে কেনাকাটাও বাড়ে। তাই নজর থাকে নিত্যদিনের সোনার দামে ওঠানামাতেও।
এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার, যাঁর দিনের শুরুতে সোনা-রুপোর (Gold silver price) দামের দিকে চোখ যায় না । শখ হোক বা বিনিয়োগ, সোনার (Gold Rate Today) তুলনা নেই। শুভ অনুষ্ঠানের সঙ্গেও জড়িয়ে সোনার কেনার চল। আজ বাজারে সোনা-রুপোর সঠিক দাম (silver price) কত চলছে? প্রতিদিন সোনা-রুপোর (gold price) দাম কেমন চলছে, এক ক্লিকেই জেনে নিতে পারবেন তা। জানাচ্ছে, স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি (SSBC)*
আজকের সোনার দাম (৬ ডিসেম্বর, ২০২৩)
কত ক্যারেট | কত ওজন | দাম (টাকায়) |
২৪ ক্যারেট (Fine Gold 995) | ১ গ্রাম | ৬২০৭ |
২২ ক্যারেট (কিনতে গেলে) | ১ গ্রাম | ৫৯৯৬ |
২২ ক্যারেট (বেচতে গেলে) | ১ গ্রাম | ৫৬৪৮ |
১৮ ক্যারেট | ১ গ্রাম | ৪৯৪১ |
আজকের রূপার দাম (৬ ডিসেম্বর, ২০২৩)
রূপা (৯৯৯) | ১ কেজি | ৭৪৭৭৭ টাকা |
সোনা ও রুপো কেনার সময়ে উপরে উল্লিখিত দামের সঙ্গে আরও ৩ শতাংশ GST যুক্ত হবে। অর্থাৎ উপরে যে দামগুলি উল্লেখ করা হয়েছে তার সঙ্গে জিএসটি যুক্ত করা নেই।
তথ্যসূত্র: স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি (SSBC)*
সোনা কতটা খাঁটি তা ক্যারাটের উপর নির্ভর করে। সবচেয়ে খাঁটি সোনা ২৪ ক্যারাটের হয়। এর অর্থ ওই সোনায় অন্য কোনও ধাতু মেশানো নেই। সোনার ক্যারেট যত কমবে সেই সোনায় তত বেশি খাদ মেশানো হয়। যেমন ১৮ ক্যারেটের সোনায় ৭৫ শতাংশ সোনা থাকে এবং ২৫ শতাংশ অন্য ধাতু থাকে।
এছাড়াও fineness দিয়েও সোনা কতটা খাঁটি তা দেখা হয়। যেমন যদি 24 carats (995) লেখা থাকে তাহলে সেই সোনায় প্রতি হাজার ভাগে ৯৯৫ ভাগ সোনা এবং বাকি ভাগ অন্য ধাতু। 24 carats (999) লেখা হলে সেটি সবচেয়ে খাঁটি সোনা। এছাড়াও রয়েছে ২২ ক্যারেটের সোনা, তার fineness ৯১৬, (916 gold rate today)২২ ক্যারেটের সোনা দিয়েই গয়না তৈরি হয়। পাথর সেটিং, হিরের গয়না তৈরিতে সাধারণত ১৮ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়।
একেবারে খাঁটি সোনা এতটাই নরম হয় যে তা দিয়ে গয়না বানানো যায় না। ফলে গয়নার সোনা পুরোপুরি খাঁটি হয় না। সোনার সঙ্গে অন্য কী ধাতু মেশানো হচ্ছে তার উপর নির্ভর করেই সোনার রং বদলে যায়। যেমন White Gold-এর ক্ষেত্রে সাধারণত রূপো বা প্যালাডিয়াম ব্যবহার করা হয়। রোজ গোল্ড তৈরিতে ব্যবহার হয় তামা।
*১৯৯৩ সালে তৈরি হয় স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি। গোটা রাজ্যেই কার্যকর এই সংগঠন। স্বর্ণশিল্পী এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই সংগঠনের কার্যকলাপ। বর্তমানে এর কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর কুমার দে।