Insurance Policy: একটি স্বাস্থ্যবিমা সংস্থার থেকে বিমা করিয়েছিলেন এক বৃদ্ধা মহিলা। তিন দিন ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিছু গুরুতর শ্বাসজনিত সমস্যার কারণে। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার আগে তার মেয়ে স্বাস্থ্যবিমা (Health Insurance) সংস্থার কাছে সমস্ত চিকিৎসার খরচের দাবি জানান। কিন্তু সেই দাবিও ভুয়ো বলে সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যায়। সেই মহিলার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি পিডিএফ মেসেজ আছে যেখানে বলা হয়, তার আবেদন বাতিল হয়েছে। ইমেলের মাধ্যমে এরপরে সংস্থার সঙ্গে বহুবার যোগাযোগ (Insurance Policy) করার চেষ্টা করা হলেও পরিবারের কোনো প্রশ্নেরই কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি সংস্থার তরফে। স্বাভাবিকভাবে বিধ্বস্ত এবং বিরক্ত হয়ে সেই বৃদ্ধা মহিলার মেয়ে এক্স হ্যান্ডলে তার পরিবারের প্রতি হওয়া এই হয়রানির কথা জানান।
এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে সেই মহিলা লেখেন যে বিমা সংস্থার পক্ষ থেকে তার ক্লেম অযাচিত কারণে 'ভুয়ো' বলে বাতিল করে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের চিকিৎসার বিল বাবদ ১.৩ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে তাঁকে। সেই মহিলার নাম সমাজমাধ্যম থেকে জানা যায় ঋতুপর্ণা চট্টোপাধ্যায়। তিনি তার এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে লেখেন, 'আমার বৃদ্ধা এবং অশক্ত মা-বাবাকে অবিশ্বাস্যরকম মানসিক, আর্থিক এবং শারীরিকভাবে হেনস্থা হতে হয় কেয়ার ইনসিওরেন্স সংস্থার কারণে। ২০২৩ সাল থেকে মোটা টাকার প্রিমিয়াম দিয়ে আসছি আমরা। আমার মা এই কেয়ার বিমার অধীনে কভারেজে ছিলেন, ২০ জানুয়ারি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ফরটিস হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।' তিনি এও বিস্তারিত জানান যে বিমা সংস্থার পক্ষ থেকে যা যা তথ্য চাওয়া হয়েছিল সমস্তই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জমা দিয়েছিল, কিন্তু এর পরেও তাদের ক্লেম বাতিল হয়ে যায়। '২২ জানুয়ারি আমার মাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার আগে আমার বাবার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি পিডিএফ পাঠিয়ে জানানো হয় যে আমাদের ক্লেম বাতিল করা হয়েছে ভুয়ো দাবি সন্দেহে', জানান ঋতুপর্ণা।
এমনকী তিনি এও জানান যে কাস্টমার কেয়ারে ফোন করা হলে তিনবার তিনজন এক্সিকিউটিভ তিন রকমের কথা বলেন। একজন আবার বলেন যে ক্লেম বাতিল করা হয়েছে কারণ তার মা নাকি প্রত্যক্ষ ধূমপায়ী। পরে স্বাস্থ্যবিমা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয় ক্লেম বাতিল হয়েছে যথাযথ নথির অভাবের কারণে। কিন্তু এটা জানাননি যে ঠিক কোন নথি জমা করা হয়নি। ঋতুপর্ণা বলেন, 'কে বলতে পারে এরপরেও যে কেয়ার বিমা সংস্থা আমাদের ক্লেম আবার বাতিল করবে না। তাই আমার বাবা-মায়ের মনে একটা ভয় ধরে গিয়েছে যে প্রত্যেকবার হাসপাতালে ভর্তি হলেই কি নিজের পকেট থেকে টাকা দিতে হবে। আর এই স্ট্রেসের কারণে মায়ের শরীর আরও খারাপ হচ্ছে'।
আরও পড়ুন: Working Day: সপ্তাহে ৪ দিন কাজ, ৩ দিন ছুটি- কর্মীদের সুখবর দিল এই ২০০ সংস্থা