Hexaware Tech IPO: স্টক মার্কেটের এই সাম্প্রতিক র্যালিতে বেশ কিছু সংস্থা তাদের আইপিও নিয়ে এসেছে আর সেই আইপিওগুলিতে (Upcoming IPO) বিপুল মুনাফাও হয়েছে। মুম্বইয়ের এমনই একটি টেক সংস্থা হেক্সাওয়্যার টেকনোলজি (Hexaware Tech IPO) সম্প্রতি বাজারে আইপিও আনার জন্য সেবির কাছে DHRP জমা করেছে।
আইটি সেক্টরের সবথেকে বড় আইপিও
জানা গিয়েছে হেক্সাওয়্যার টেকনোলজি সবথেকে বড় একটি আইপিও নিয়ে আসতে চলেছে। এই আইপিওর ইস্যু সাইজ হতে চলেছে ১০ হাজার কোটি টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি যদি এই আইপিওকে অনুমোদন দেয়, তাহলে এই সংস্থা এতদিনকার টিসিএসের রেকর্ডও ভেঙে দেবে। টিসিএস এতদিন পর্যন্ত দেশের আইটি সেক্টরে সবথেকে বড় আইপিও আনার জন্য রেকর্ড গড়েছিল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন নাম উঠে আসবে হেক্সাওয়্যার টেকনোলজিসের।
টিসিএসের রেকর্ড ভেঙে দেবে এই সংস্থা
টাটা গ্রুপের আইটি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস সংক্ষেপে টিসিএস এখনও পর্যন্ত সবথেকে বড় আইপিও আনার রেকর্ড গড়েছিল। এটি দেশের মধ্যেও সবথেকে বড় আইটি সংস্থা। আজ থেকে ২০ বছর আগে এই সংস্থা ৪৭১৩ কোটি টাকার আইপিও নিয়ে এসেছিল। আর হেক্সাওয়্যার টেকনোলজি সংস্থা পরিকল্পনা করেছে বাজারে আইপিও এনে ৯৯৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার। অর্থাৎ এই আইপিওর ইস্যু সাইজ টিসিএসের আইপিওর থেকেও ২ গুণ বড় হবে।
এই পরিকল্পনাকে ঘিরে জল্পনা বাড়ছে এই কারণে
হেক্সাওয়্যার টেকের এই আইপিওকে ঘিরে অনেক প্রশ্ন উঠছে যদিও। এর আগে এই আইটি সংস্থা স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত হয়েছিল। ২০০২ সালের জুন মাসে এই সংস্থার আইপিও এসেছিল বাজারে। কিন্তু ৪ বছর আগে এই সংস্থার শেয়ার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। ২০২০ সালে পুরনো প্রোমোটার সংস্থা বিয়ারিং প্রাইভেট ইকুইটি এশিয়া হেক্সাওয়্যার টেকনোলজিকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে প্রশ্ন উঠছে এই সংস্থা প্রথমে নিজেদের প্রাইভেট ঘোষণা করে, তারপর আবার বাড়ন্ত দামে আইপিও আনার চেষ্টা করছে। এটি বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় জালিয়াতিও হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন।
( মনে রাখবেন : এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, বাজারে বিনিয়োগ করা ঝুঁকি সাপেক্ষ। বিনিয়োগকারী হিসাবে অর্থ বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ABPLive.com কখনও কাউকে এখানে অর্থ বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেয় না। এখানে কেবল শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই শেয়ার মার্কেট সম্পর্কিত খবর দেওয়া হয়। কোনও শেয়ার সম্পর্কে আমরা কল বা টিপ দিই না।)
আরও পড়ুন: Swiggy Fraud: ৩৩ কোটির জালিয়াতি সুইগি কর্মীর, IPO আনার আগেই চাপের মুখে সংস্থা