নয়াদিল্লি: আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার দরে কারচুপি, করফাঁকির অভিযোগ এনে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল তারা। আমেরিকার বিনিয়োগ অনুসন্ধানকারী সংস্থা Hindenburg Research-এর নিশানায় এবার আরও এক ভারতীয় সংস্থা। শীঘ্রই ফের বড় ধরনের দুর্নীতির পর্দাফাঁস করতে চলেছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই সংস্থার  তরফেই তার ঘোষণা হল। (Hindenburg Research)


মাইক্রোব্লগিং সাইট X (সাবেক ট্যুইটার)-এ এই ঘোষণা করেছে তারা। বিশদে কিছু যদিও জানায়নি Hindenburg Research. শুধু লেখা হয়েছে, ‘শীঘ্রই বড় কিছু আসছে ভারত’। তাদের এই ঘোষণায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। এবার কোন সংস্থা, কোন ব্যক্তিত্ব তাদের নিশানায়, সেই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। (Adani Group:)


আদানিদের নিয়ে বড় দাবির এক বছর পর ফের ভারত নিয়ে এই ঘোষণা করল Hindenburg Research. গত বছর ২৪ জানুয়ারি আদানিদের নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে ওই সংস্থা, যাতে শেয়ার দরে কারচুপি থেকে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ ছিল। ওই রিপোর্ট সামনে আসতেই শেয়ার বাজারে আদানিদের একের পর এক সংস্থায় ধস নামে। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তালিকার প্রথম তালিকা থেকেও ছিটকে যান গৌতম আদানি। 



আরও পড়ুন: Banks Write Off Loans: ৫ বছরে ৯.৯ লক্ষ কোটির অনাদায়ী ঋণ মোছা হয়েছে ব্যাঙ্ক থেকে, জানাল কেন্দ্র


সেই রক্তক্ষরণ কমাতে গত এক বছরে একের পর এক পদক্ষেপ করেছে আদানি গোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে, ভারতের উপর পরিকল্পিত হামলা হচ্ছে বলে দাবি করে তারা। Hindenburg Research-এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়েও নামে তারা। ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা SEBI-ও সেই নিয়ে তদন্তে নামে।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ আদানি এবং তাঁর সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরাও। জেপিসি তদন্তের দাবি করা হয়। সেই মর্মে আবেদনও জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে, যা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। Hindenburg Research-এর অভিযোগ ছিল, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে নথিভুক্ত সংস্থগুলির শেয়ার দর কারচুপি- করে বাড়িয়ে দিচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। সেই সংক্রান্ত ২৪টি অভিযোগ খতিয়ে দেখছে SEBI. 


যদিও SEBI-র তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। মোদি ঘনিষ্ঠ আদানির কুকীর্তি ঢাকা দিতে সরকারের তরফেও চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সম্প্রতি জানান, সংসদে আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলায়, গত বছর অন্যায় ভাবে তাঁর সাংসদ পদ কেড়েই নেওয়া হয়নি শুধু, তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ফোনে হুমকি-হুঁশিয়ারিও চলছে। সেই আবহে নয়া রিপোর্ট আনতে চলেছে Hindenburg Research.