Home Loan Benefits: ভারতের মহিলাদের জন্য হোম লোন আর্থিকভাবে লাভজনক হতে পারে। সরকার এবং সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি মহিলা ঋণগ্রহীতাদের নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে কম সুদের হার (Home Loan Benefits), স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড়, আয়করে ছাড় এবং ঋণ পাওয়ার যোগ্যতায় প্রাধান্য। এই সমস্ত সুবিধে মহিলাদের (Woman Borrowers) দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
কম সুদের হার মহিলাদের জন্য
মহিলাদের ক্ষেত্রে কো-বরোয়ার বা এককভাবে হোম লোন নিলে সুদের হার অনেক কম থাকে। মহিলা ঋণগ্রহীতাদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ০০.৫ থেকে ০.১০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় পাওয়া যায়। এই সুদের হারে ছাড় আদপে অনেক কম মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে তা অনেক টাকা বাঁচায়। কেউ যদি ৩০ বছরের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার ঋণ নিয়ে থাকে ৮.৭০ শতাংশ সুদের হারে, তাহলে তার মাসিক ইএমআই হবে ৩৯,১৫৭ টাকা আর ৩০ বছরে তাঁকে মোট ১.৪০ কোটি টাকা দিতে হবে ব্যাঙ্ককে। আর যদি মহিলাদের ক্ষেত্রে ১০ বেসিস পয়েন্ট ছাড় থাকে তাহলে ৮.৬০ শতাংশ সুদের হারে মাসিক ইএমআই হবে ৩৮৮০১ টাকা। ৩০ বছরে সেই মহিলাকে দিতে হবে মোট ১.৩৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১.২৮ লক্ষ টাকা সহজেই বাঁচাতে পারবেন আপনি।
আয়করে ছাড়
আয়কর আইনের ৮০সি ধারার অধীনে একজন মহিলা ঋণগ্রহীতা চাইলে তার মূল ঋণের অঙ্কের উপরে ১.৫ লক্ষ টাকার আয়কর ছাড় দাবি করতে পারেন। এছাড়াও আয়কর আইনের ২৪(বি) ধারা অনুসারে নিজের কেনা বাড়ির জন্য ঋণ নিয়ে থাকলে সেই ঋণের সুদের উপর ২ লক্ষ টাকা বার্ষিক হিসেবে আয়কর ছাড় দাবি করতে পারেন। আর যদি মহিলা কো-বরোয়ার হন, তাহলে দুজনেই আলাদা আলাদাভাবে কর ছাড়ের দাবি করলে অনেক বেশি কর ছাড় পাওয়া যায়।
বিশেষ সুবিধে
মহিলাদের নামে সম্পত্তি, বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনা হলে বেশিরভাগ রাজ্যেই স্ট্যাম্প ডিউটিতে ১-২ শতাংশের ছাড় দেওয়া হয়। আর তার ফলে ১.২ কোটি মূল্যের কোনও সম্পত্তি কেনার জন্য ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ বাঁচাতে পারেন মহিলারা।
ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলাদের ঋণ পেতে বিশেষ সমস্যা হয় না, স্থায়ী আয় এবং ভাল ক্রেডিট স্কোর থাকলে সহজেই পুরুষের তুলনায় মহিলারা ঋণ পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হন। আর কোনও পুরুষ যদি হোম লোনের জন্য আবেদন করেন যেখানে কো-বরোয়ার থাকবেন কোনও মহিলা, তাহলে সেই ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়।