Honda City hybrid review: বিশাল অঙ্কের টাকার জন্য ইলেকট্রিক গাড়ি নিতে পারছেন না ? নিত্যদিন পেট্রলের দামে ফাঁকা হচ্ছে পকেট। দেশবাসীর চাহিদার কথা উপলব্ধি করে এবার হোন্ডা হাইব্রিড Honda City e:HEV আনল কোম্পানি। জ্বালানি খরচ বাঁচাতে যা পাশে দাঁড়াবে আপনার। জেনে নিন , ঠিক কী দেওয়া হয়েছে এই গাড়িতে।


Honda City hybrid review: আরও কী পাচ্ছেন নতুন হাইব্রিড গাড়িতে ?
কেবল মাইলেজ বৃদ্ধির জন্য 20 লক্ষ টাকার সেডান নিতে আগ্রহী হবেন না অনেকেই। বাস্তব বলে এটা খুব একটা বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত হবে না অনেকের ক্ষেত্রেই। সেই ক্ষেত্রে কেবল মাইলেজের বাইরে আরও কী দিচ্ছে গাড়ি জেনে নিন সেই বিষয়গুলি। আপনার অতিরিক্ত অর্থের জন্য হোন্ডা হাইব্রিড আপনাকে কী দিচ্ছে।


Honda City hybrid review: কতটা শক্তিশালী নতুন মডেল ?
সিটি হাইব্রিড কেবল আরও আরামদায়ক গাড়ি হওয়ার অনুভূতি দেয় না। এতে এবার নতুন পাওয়ারট্রেন ও দুটি বৈদ্যুতিক মোটর দিয়েছে কোম্পানি। 1.5 লিটার পেট্রল ইঞ্জিনের এই গাড়িতে আপনি 126 bhp ছাড়াও 253Nm টর্ক পাবেন। এতে প্রচলিত গিয়ারবক্সও নেই, কারণ এখানে বৈদ্যুতিক মোটর চাকা চালায়, সেখানে পেট্রল ইঞ্জিন জেনারেটর হিসাবে কাজ করে। এই শুনে বিভ্রান্ত হচ্ছেন? সংক্ষেপে বলতে গেলে, হাইব্রিড গাড়ি বলতে এখানে একটি ব্যাটারি প্যাক, বৈদ্যুতিক মোটর ও একটি পেট্রল ইঞ্জিন উভয়ই রয়েছে। অতএব, একটি ইভির মতো আপনাকে এই গাড়ি ফিজিক্যালি চার্জ করার প্রয়োজন নেই। পরিবর্তে এতে পেট্রল ভরুন, যা আপনার প্রত্যাশার চেয়েও অনেক বেশি কাজ করবে।


Honda City hybrid review: কী কী বিশেষ বৈশিষ্ট্য গাড়িতে ?
সিটি হাইব্রিড ইভি ড্রাইভ, হাইব্রিড ড্রাইভ ও ইঞ্জিন ড্রাইভ মোড দেওয়া হয়েছে এই সেডানে। শুরুর গতিতে আপনি সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক নীরবতায় গাড়ি চালাতে পারবেন। এর ব্যাটারি প্যাকটি কখনোই ফুরিয়ে যায় না। এর অর্থ হল, আপনি সর্বদা ইভি মোডে গাড়ি চালানো শুরু করতে পারবেন। এটি কম গতিতে শান্ত ও ট্রাফিকে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো আচরণ করে। সুতরাং 40 কিলোমিটারের নিচে এটি একটি ইভির মতো আচরণ করবে। তবে তাড়াতাড়ি গতি বৃদ্ধি হলেও হাইব্রিড ড্রাইভ কিক হওয়ার কারণে ঝাঁকুনি ছাড়াই এটি এগিয়ে যায়। ফলে চালক ও যাত্রীর বেশ আরামদায়ক অনুভূতি হয়। যদিও 80 কিলোমিটারের উপরে গেলে এর ইঞ্জিন তার সম্পূর্ণ ক্ষমতায় আসে।


Honda City hybrid review: সবথেকে বড় বিষয় মাইলেজ
এই গাড়ির নাম শুনেই সবাই যেটি জানতে চায়, তা হল মাইলেজ। এখানে আমরা শহর ও হাইওয়েতে দুর্দান্ত 19 kmpl প্লাস মাইলেজ পেয়েছি। এই গাড়ির অফিশিয়াল মাইলেজের পরিসংখ্যান লিটার পিছু 26.5 কিমি। তবে বলা যেতেই পারে, 19kmpl কোনও সেডানের পক্ষে এখনও দারুণ মাইলেজ। এ ছাড়াও গাড়িতে "হোন্ডা সেন্সিং" অ্যাডাস বৈশিষ্ট্যগুলি ব্যবহার করা সহজ। স্পষ্টভাবে চিহ্নিত রাস্তায় ভালভাবে কাজ করে এই প্রযুক্তি। গাড়িতে রয়েছে কোলিশন মিটিগেশন ব্রেকিং সিস্টেম (সিএমবিএস), অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, রোড ডিপারচার মিটিগেশন (আরডিএম), লেন কিপিং অ্যাসিস্ট সিস্টেম (এলকেএএস) ও অটো হাই-বিম। এগুলি যেকোনও গাড়ির পক্ষেই খুব দরকারি বৈশিষ্ট্য।


Honda City hybrid review: আরও অনেক কিছু গাড়িতে
এই গাড়িতে অতিরিক্ত ক্ষমতা যেমন একটি হাইএন্ড হ্যান্ডব্রেক, নতুন 17.7 সেমি হাই ডেফিনিশন ফুল কালার টিএফটি ডিসপ্লে, অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং, কানেক্টেড কার টেক (আলেক্সা ও ওকে গুগল সহ), প্লাস ইলেকট্রিক সানরুফ ও আরও অনেক কিছু রয়েছে। এক কথায় বললে হাইব্রিডের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি একটি দারুণ প্যাকেজ। তবে এটা ঠিক, এই গাড়ি একটি স্ট্যান্ডার্ড সিটি পেট্রলের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল। 


আরও পড়ুন : Kia EV6 launched: কিয়া ইভি সিক্স এল ভারতে, দাম কত জানেন ?