Baba Ramdev :  আজকের দিনে গ্রাহক পরিষেবার সঙ্গেই চলছে পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখার উদ্য়োগ। অনেক কোম্পানি নিজের অর্গ্যানিক বা জৈব পণ্য বা পরিষেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের পরিষেবা দিচ্ছে। এই বিষয়ে উদ্য়োগ নিয়েছে ভারতের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। যাদের মধ্যে রয়েছে পতঞ্জলির নাম। কীভাবে পরিবেশ সুরক্ষিত রেখে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদেরপতঞ্জলি আয়ুর্বেদ বলছে, তার জৈব উদ্যোগের মাধ্যমে কোম্পানি পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি উপভোক্তার স্বাস্থ্যকেও অগ্রাধিকার দিয়েছে। স্বামী রামদেব ও আচার্য বালকৃষ্ণ প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি কেবল আয়ুর্বেদিক পণ্যের জন্যই নয়, পরিবেশের প্রতি তার দায়িত্ব পালনের জন্যও পরিচিত। জৈব চাষ, সৌরশক্তি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পতঞ্জলির প্রচেষ্টা পরিবেশ ও উপভোক্তা উভয়ের জন্যই ইতিবাচক পরিবর্তন আনছে।

এই বিষয়ে কী যুক্তি দিয়েছে কোম্পানিকোম্পানির তরফে বলা হচ্ছে, “পতঞ্জলি জৈব গবেষণা ইনস্টিটিউট (PORI) এর অধীনে, জৈব চাষকে উৎসাহিত করার জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এই ইনস্টিটিউট জৈব-সার ও জৈব-কীটনাশক তৈরি করে, যা রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরতা হ্রাস করে। এটি মাটির উর্বরতা উন্নত করে, জল ও বায়ু দূষণ হ্রাস করে জীববৈচিত্র্যকে সুরক্ষিত রাখে। PORI ৮টি রাজ্যে ৮,৪১৩ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে, যা তাদের জৈব চাষ কৌশল গ্রহণে সাহায্য করে। এই উদ্যোগ কেবল পরিবেশ পরিষ্কার রাখে না বরং কৃষকদের আয়ও বৃদ্ধি করে।”

গ্রাম ও শহরে ‘পতঞ্জলি এনার্জি সেন্টার ’ স্থাপনকোম্পানির দাবি, “আমাদের সৌরশক্তি উদ্যোগটিও উল্লেখযোগ্য, যা সাশ্রয়ী সৌর প্যানেল, ইনভার্টার, ব্যাটারি দিয়ে গ্রামাঞ্চলে সবাইকে ক্লিন এনার্জির দিকে উৎসাহিত করছে। এই বিষয়ে স্বামী রামদেবের দৃষ্টিভঙ্গি হল, প্রতিটি গ্রাম ও শহরে একটি ‘পতঞ্জলি এনার্জি সেন্টার ’ প্রতিষ্ঠা করা, যা কার্বন নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একটি অনন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। পতঞ্জলি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুকনো বর্জ্যকে সার হিসেবে রূপান্তরিত করা হয় ও যজ্ঞের জন্য পবিত্র উপকরণ প্রস্তুত করতে গোবর ব্যবহার করা হয়। এটি প্রাচীন জ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির এক অনন্য মিশ্রণের প্রতিনিধিত্ব করে।”

পতঞ্জলি আরও বলেছে, “আমাদের পরিবেশ-বান্ধব প্যাকেজিং ও রাসায়নিক-মুক্ত পণ্য গ্রাহকদের স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ বিকল্প প্রদান করে। আমাদের আয়ুর্বেদিক ওষুধ, জৈব খাদ্য সামগ্রী ও প্রাকৃতিক প্রসাধনী কেবল সুস্বাস্থ্যের প্রচার করে না বরং পরিবেশের ক্ষতিও এড়ায়। পতঞ্জলির দৃষ্টিভঙ্গি হল প্রকৃত অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন আমরা নিজেদের ও পরিবেশ উভয়ের যত্ন নিই।”

প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠাটাই চ্যালেঞ্জজৈব পণ্যের বিপণন ও বিতরণে চ্যালেঞ্জ থাকলেও কোম্পানি বলছে- তাদের বিশ্বস্ত নাম ও গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ধাপে ধাপে এই বাধাগুলি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করছে। ''এই উদ্যোগ কেবল ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সুরক্ষা ও দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করছে। পতঞ্জলির জৈব প্রচার অভিযান প্রমাণ করে, যে ব্যবসা ও পরিবেশ সংরক্ষণ একসঙ্গে চলতে পারে। গ্রাহকদের উপকার করার পাশাপাশি আমাদের পৃথিবীর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে।"