Bank Loan Harassment: ঋণের টাকা ফেরত দিতে দেরি হওয়ার অনেক সময় হেনস্থার মুখে পড়তে হয় ঋণগ্রহীতাকে। সেই ক্ষেত্রে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি। এই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়লে মনে রাখবেন গ্রাহক সুরক্ষা আইনের কথা। জেনে নিন,ব্যাঙ্কের এজেন্ট হেনস্থা করলে কী করবেন আপনি। 


Loan Recovery: ব্যাঙ্কের এজেন্ট হুমকি দিলে কী করবেন ? 
জীবনের অনেক সময় বাড়ি, গাড়ি, শিশুদের শিক্ষা, বিয়ে, ব্যবসার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ঋণ নেন গ্রাহকরা। আজকাল অনেক ব্যাঙ্ক এই ধরনের ঋণে ভাল অফার দেয়। তবে ঋণের লোভনীয় অফারে পা দিয়ে কখনোই বড় ঋণ নেওয়া উচিত নয়। মনে রাখবেন, একবার ঋণ নিলে আপনাকে প্রতি মাসে ঋণের EMI সময়মতো শোধ করতে হবে।  কোনও কারণে গ্রাহক ঋণের কিস্তি নির্দিষ্ট তারিখের মধ্য়ে ফেরত দিতে না পারলে গ্রাহকদের কল ও বার্তা পাঠাতে শুরু করে ব্যাঙ্কগুলি। বহুবার ব্যাঙ্কের এজেন্টরা গিয়ে গ্রাহকদের হুমকিও দেন। যা কখনোই উচিত নয়। 


Loan Recovery Rules: এজেন্ট বাজে কাজ করলে কী করা উচিত 
ব্যাঙ্কের এই আচরণে বেশিরভাগ গ্রাহক ঘাবরে যান। কারণ অনেকেই তাদের ক্রেতা সুরক্ষা অধিকার সম্পর্কে অবগত নন। সেই কারণে তারা ব্যাঙ্কের এজেন্টদের কাছে হয়রানির শিকার হন। যদি আপনার সঙ্গেও এরকম কিছু হয়ে থাকে, তাহলে গ্রাহকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হোন। আরবিআই এই বিষয়ে কিছু নিয়ম করেছে। ঋণের টাকা পরিশোধ না করার ক্ষেত্রে যদি কোনও ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের হুমকি দেয়, তাহলে গ্রাহক পুলিশে অভিযোগ করতে পারেন ও নিজের জন্য জরিমানা চাইতে পারেন। এখানে গ্রাহকদের অধিকার সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হল।


Loan Rules: এজেন্টরা চাইলেই যখন খুশি বাড়িতে যেতে বা ফোন করতে পারে না  
 ঋণ হেলাপির টাকা পুনরুদ্ধার করার অধিকার রয়েছে ব্যাঙ্কের। তবে এর জন্য তাদের আরবিআই-এর কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। ব্যাঙ্ক অফিসার বা রিকভারি এজেন্ট কেবল সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে গ্রাহককে কল করতে পারেন। পাশাপাশি তার বাড়িতে যাওয়ার হলেও সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে যেতে হবে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিকে। যদি ব্যাঙ্কের কোনও প্রতিনিধি এই নির্দিষ্ট সময় ছাড়া আপনার বাড়িতে আসেন, তাহলে আপনি ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন।


যদি কোনও গ্রাহক পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে কিস্তির টাকা জমা না দেন, তাহলে ব্যাঙ্ক তাকে নোটিশ ধরায়। এরপর আবার টাকা জমা দেওয়ার জন্য ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়। এর পরেও যদি কোনও ব্যক্তি টাকা জমা না করে তবে ব্যাঙ্ক তার বন্ধকী সম্পত্তি যেমন বাড়ি, গাড়ি বিক্রি করে তার অর্থ উদ্ধার করতে পারে।


Loan Rules: ব্যাঙ্কের এজেন্ট বাজে ব্যবহার করলে কী করবেন ? 


আপনি যদি আপনার ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে অক্ষম হন, তাহলে ব্যাঙ্ক তার পুনরুদ্ধারের জন্য আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। কিন্তু কোনও ব্যাঙ্ক অফিসার বা রিকভারি এজেন্টের কোন গ্রাহকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অধিকার নেই। কেউ যদি আপনাকে মানসিক বা শারীরিকভাবে হয়রানি করে তাহলে আপনি ব্যাঙ্কে অভিযোগ করতে পারেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে জরিমানাও পেতে পারেন।


কোনও সমস্যা হলে কী করবেন, কোথায় অভিযোগ জানাবেন ?


১ ঋণগ্রহীতাদের অবশ্যই রিকভারি এজেন্টের সব বার্তা, ইমেল এবং কলের রেকর্ড রাখতে হবে। একটি অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রে এগুলি গুরুত্বপূর্ণ হবে।
২ ঋণগ্রহীতা রিকভারি এজেন্টের বিরুদ্ধে সব প্রমাণ নিয়ে তাদের লোন অফিসার বা ব্যাঙ্কের কাছে যেতে পারেন। ঋণদাতা তখন এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।
৩ ঋণগ্রহীতারাও থানায় গিয়ে রিকভারি এজেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। পুলিশ পর্যাপ্ত সহায়তা না দিলে, ব্যক্তি আদালতে দেওয়ানি নিষেধাজ্ঞা দাখিল করতে পারেন। এটি ঋণগ্রহীতাদের ব্যাঙ্ক থেকে অন্তর্বর্তীকালীন ত্রাণ পেতে ও দুর্ব্যবহারের জন্য ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে। ৪ যদি রিকভারি এজেন্ট ঋণগ্রহীতার চরিত্রের মানহানি করার চেষ্টা করে, তবে ব্যক্তি এজেন্ট এবং ঋণদাতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে পারেন।
৫ যদি এরপরও হয়রানির শিকরা হন, তবে ঋণগ্রহীতা সরাসরি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে যেতে পারেন। 


আরও পড়ুন : Akshaya Tritiya 2023: লাভে সোনা বিক্রি করলেও দিতে হয় ট্যাক্স, কীভাবে বাঁচাবেন এই কর ?