কলকাতা: নাম শুনলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায় অনেকের। গলায় ঢাললে তো কথাই নেই। কিন্তু আজ যাকে কোল্ডড্রিঙ্ক বা সফ্টড্রিঙ্ক বলে চিনি আমরা, গরমে গলা ভেজানো থেকে খাবার হজম করতে ব্যবহার করি যে পানীয়, তার উৎপত্তির কারণ জানলে অবাক হবেন (Cold Drink History)।
১৮৯২ সালের ২৯ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘দ্য কোকা-কোলা কোম্পানি’র প্রতিষ্ঠা
হালফিলে যত কোল্ডড্রিঙ্ক বাজারে রয়েছে, আক্ষরিক অর্থেই সকলের অভিভাবক কোকা-কোলা। ১৮৯২ সালের ২৯ মার্চ আনুষ্ঠানিক ভাবে ‘দ্য কোকা-কোলা কোম্পানি’র প্রতিষ্ঠা হয়। সর্বপ্রথম হ্যাংওভার কাটানোর সিরাপ হিসেবেই বিক্রি শুরু কোকা-কোলার (The Coca Cola Story)।
১৮৮৬৫ সালে অ্যাটল্যান্টায় পেশায় ফার্মাসিস্ট জন এস পেম্বার্টন নিজের কারখানায় এই সিরাপ তৈরি করেন। হ্যাংওভার-সহ পেট্র যন্ত্রণা এবং মাথার যন্ত্রণার উপশম হিসেবেও বিকোতে শুরু করে। এমনকি ব্রেইন টনিক এবং বুদ্ধিদীপ্তদের পানীয় হিসেবেও ব্র্যান্ডিং হয়েছিল।
গোড়ার দিকে ঝোপজাতীয় গাছ কোকার পাতায় মজুত কোকেন এবং ক্য়াফিন ধারণকারী কোলা বীজের উপাদান মিশ্রিত ছিল এই পানীয়ে। ১৯০৩ সালে কোকেন বাদ দেওয়া হয়। সোডা সংস্থার পণ্যের সঙ্গে একত্রে বিক্রি শুরু করেন পেম্বার্টন। তাতে সাফল্যও আসে বিপুল।
আরও পড়ুন: Mobile Seller's Profit : ২০ হাজার টাকার একটি মোবাইল বিক্রি করে কতটা লাভ রাখেন বিক্রেতা ?
এর পর, ১৮৯১ সালে হাতবদল হয়ে ‘দ্য কোকা-কোলা কোম্পানি’র প্রতিষ্ঠা হয়। ১৮৯৩ সালে নথিভুক্ত হয় সংস্থার ট্রেডমার্ক। এসা গ্রিগস ক্যান্ডলারের নেতৃত্বে ১৮৯০ সালের ৯ হাজার গ্যালন থেকে কোকা-কোলার বিক্রি বেড়ে ১৯০০ সালে হয় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার ৮৭৭ গ্য়ালন। তার পর ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়তা পায় কোকা-কোলা।
স্বাদবদল করে বিপাকে, ফিরে যাওয়া গোড়াতেই
১৯৭৮ সালে চিন সরকার শুধু মাত্র কোকা-কোলাকেই প্যাকেট জাতীয় পানীয় বিক্রির অনুমোদন দেয়। ১৯৮৫ সালে এক বার স্বাদ বদল করেছিল সংস্থা। নয়া নাম 'নিউ কোক' হিসেবে বিক্রি শুরু হয়। কিন্তু তা একেবারেই পছন্দ হয়নি গ্রাহকদের। পরে ফের সাবেক রেসিপি-তেই ফিরে যায় তারা। চালু হয় নয়া নাম, 'কোকা-কোলা ক্লাসিক'।
সময়ের সঙ্গে অধুনিকীকরণও ঘটিয়েছে কোকা-কোলা। তাদের পণ্যের তালিকায় রয়েছে ডায়েট কোক, ক্যাফিন ফ্রি কোকা-কোলা, ডায়েট কোক ক্যাফিন ফ্রি, কোকা-কোলা জিরো সুগার, কোকা-কোলা চেরি, কোকা-কোলা ভ্যানিলা, এমনকি লেমন এবং লাইম সংস্করণও আনা হয়। তবে ১৯৮৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শুধু মাত্র 'কোকা-কোলা ক্লাসিক' নামই চালু ছিল, যাতে 'নিউ কোক' নামের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা যায়। এ ছাড়াও সোডা ফাউন্টেন বিক্রি করে কোকা-কোলা।