Indian Economy: বিশ্বব্যাপী মন্দার আবহের প্রভাব পড়তে পারে ভারতে। চলতি অর্থবর্ষে কমতে পারে ভারতের GDP। সম্প্রতি অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের এই ধারণায় সিলমোহর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (IMF)।  


IMF Update: ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে কী ভাবছে IMF


আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিলের (IMF) তরফে বলা হয়েছে, ২০২৩-'২৪ অর্ষবর্ষে ভারতের ডিজিপি কমতে পারে। সংস্থার জানুয়ারির পূর্বাভাসে এই আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.৯ শতাংশ করেছে IMF। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে বিশ্বের অর্থনীতিতে একটি পরিবর্তন এসেছে। সেই অনুযায়ী, বিশ্বের অর্থনীতি কিছুটা হলেও আগের থেকে ভাল জায়গায় এসেছে। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস ও বৃদ্ধি স্থিতিশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের তাবর অর্থনীতি লক্ষ্য পূরণের বিষয়ে আশা রাখছে। এর আগে টানা মুদ্রাস্ফীতি ও সাম্প্রতিক আর্থিক খাতে অস্থিরতা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এটা তারই প্রভাব।


Financial News: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আশায় জল


আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থার পূর্বাভাস ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ৬.৫ অনুমান থেকে অনেকটাই কম। গত ৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক চলতি অর্থবছরের প্রথম আর্থিক নীতির বৈঠকে চলতি বছরের বৃদ্ধির পূর্বাভাস বাড়িয়েছিল। সেই সময় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন করে রোপো রেট বৃদ্ধি করেনি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেই সময় রেপো রেট ৬.৫০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল RBI। রেপো রেট হল সেই সুদের হার, যার ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।


ভারতে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি (Retail Inflation) ফেব্রুয়ারিতে ৬.৪৪ শতাংশ থেকে মার্চে ৫.৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে।  পাশাপাশি গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৬.১০ শতাংশের থেকে সোজা ৫.৮৯ শতাংশে নেমে এসেছে।


পতন খুচরা মুদ্রাস্ফীতির গ্রাফে : ২০২২ সালের নভেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৫.৮৮ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা কমে হয় ৫.৭২ শতাংশ। এই সংখ্যা কার্যত চিন্তামুক্ত করবে অর্থনীতিবিদদের বলেই কথা উঠেছিল বিশেষজ্ঞ মহলে। যদিও এবার ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে আসতেই আরও পতন হল খুচরা মুদ্রাস্ফীতিতে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, আরও পতন খুচরা মুদ্রাস্ফীতির গ্রাফে।


খাদ্য মুদ্রাস্ফীতির পতন প্রতিটি পরিবারের জন্য সুখবর বলা যেতে পারে। কারণ প্রতিটি পরিবারের বাজেটের একটি বড় অংশ খাদ্যের জন্য বরাদ্দ করা হয়। গত ডিসেম্বরে খুচরা মুদ্রাস্ফীতি স্থির ছিল। দ্বিতীয় মাসের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রার ভিতরে ছিল ওই হার। ৪৫ জন অর্থনীতিবিদের সমীক্ষা অনুসারে একবছর আগে ডিসেম্বরে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৫.৯০ শতাংশ। এবার তার থেকেও নেমেছে।


আরও পড়ুন : LIC-Adani Update: হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট অতীত কথা ! ৪ আদানি গোষ্ঠীর স্টকে অংশীদারিত্ব বাড়াল LIC