Atal Pension Yojana Rules: ২০১৫-১৬ সালে অটল পেনশন যোজনা শুরু করেছিল মোদি সরকার। এই স্কিমে বিনিয়োগ করে ভবিষ্যতকে অবসর গ্রহণের পর ৫০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক পেনশন পেতে পারবেন আপনি। তবে এবার এই প্রকল্পে বড় ধরনের পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 


কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, যারা আয়কর জমা দেন তাঁরা ১ অক্টোবরের পরে আর এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন না। আপনিও যদি আয়কর জমা দেন, তাহলে আজই এই স্কিমের জন্য আবেদন করুন।দু-দিন পর আপনি এই স্কিমের সুবিধা নিতে পারবেন না। আপনি যদি এই স্কিমে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এই তথ্যগুলি দেখে নিন। দিচ্ছি-


অটল পেনশন যোজনায় বিনিয়োগের সুবিধা কী ?


অবসর নেওয়ার পর মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা দিতে এই প্রকল্প শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রকল্পটি বিশেষত অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত লোকদের জন্য শুরু করা হয়েছিল। কারণ সংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরতদের বেতনের একটি অংশ পিএফ তহবিলে জমা করা হয়। যদিও অসংগঠিত শ্রমিকরা কোনও ধরনের সামাজিক সুরক্ষা পান না। এই স্কিমে বিনিয়োগ করে, তাঁরা প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত পেনশনের সুবিধা পেতে পারেন। 


সরকার নিয়মে পরিবর্তন করেছে


অটল পেনশন প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়মে একটি পরিবর্তন করা হয়েছে। যা ১ অক্টোবর ২০২২ থেকে কার্যকর হতে চলেছে। এই পরিবর্তনের পর, করদাতারা আর এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন না। এখন শুধু তারাই বিনিয়োগের অনুমতি পাবেন যারা আয়কর দেন না। এই স্কিমে বিনিয়োগ করার জন্য আপনার বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে। আপনি যদি আয়কর দেওয়ার সময়ও এই স্কিমের সুবিধা নিতে চান, তবে আপনার কাছে মাত্র দুই দিনের সুযোগ রয়েছে। আপনি আজই এই স্কিমের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এই স্কিমে 
বিনিয়োগকারীরা ৬০ বছর বয়সের পরে তহবিলের উপর নির্ভর করে ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা মাসিক পেনশন পাবেন। যদি একজন পেনশন ধারক মারা যায়, তাহলে বিনিয়োগকৃত অর্থ মনোনীত ব্যক্তির কাছে যাবে।


এই নথিগুলি স্কিমে আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয়-


আধার কার্ড


ভোটার আইডি কার্ড


জন্মের শংসাপত্র
সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট


রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর


APY-এর জন্য এ ভাবে অনলাইনে আবেদন করুন-


1. যে ব্যাঙ্কে আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্ট আছে তার নেট ব্যাঙ্কিং-এ লগইন করুন৷


2. এর পরে গ্রাহক পরিষেবা বিকল্পে ক্লিক করে অটল পেনশন যোজনার ফর্ম ডাউনলোড করুন।


3. এই ফর্মে আপনার সমস্ত বিবরণ যেমন নাম, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি পূরণ করুন।


4. এর পরে আপনি এতে নমিনি যোগ করুন।


5. এবার আপনি প্রতি মাসে কত পেনশন চান তা বেছে নিন। এখানে সেই অনুযায়ী প্রতি মাসে আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে।


6. ফর্মে এই ডিজিটাল সাইন করার পর নেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে কিস্তির টাকা জমা দিন।