Tax Free State: সারা দেশজুড়ে এখন আয়কর জমার তোড়জোড়। আজ ৩১ জুলাই ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের আয়কর জমার আজই শেষ দিন। আজকের মধ্যে আয়কর জমা না হলে দিতে হতে পারে মোটা টাকার জরিমানা। আর এইসব কর (Income Tax) জমার জোর চর্চার মাঝে একটি রাজ্যে মানুষ খুবই শান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের মাথায় নেই করের বোঝা। আয়কর দিতে হয় না এই রাজ্যের মানুষদের। আপনি এই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হলে আপনারও আয়কর দিতে হবে না (Tax Free State) সরকারকে। সমাজমাধ্যমে এর আগে বহুবার এই বিষয়ে চর্চা দেখা গিয়েছে। আপনি যদি সিকিমের বাসিন্দা হন তাহলে সত্যিই আপনাকে কর দিতে হবে না। ভারতের একমাত্র আয়কর-মুক্ত রাজ্য সিকিম। কারণ জানেন ?


এই রাজ্য কেন আয়করের আওতায় নেই


সিকিম হল ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে মানুষদের কোনও আয়কর দিতে হয় না সরকারকে। সেখানে মানুষ যদি কোটি টাকাও উপার্জন করেন, তাহলেও এক টাকাও কর দিতে হবে না। কারণ সিকিম যখন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল, সেই সময় এই শর্তই আরোপ করা হয়েছিল। সিকিমের বাসিন্দারা ১৯৭৫ সালের অন্তর্ভুক্তি চুক্তি এবং সংবিধানের ৩৭১এফ ধারার অনুসারে করের আওতায় পড়েন না। এই রাজ্যের বাসিন্দাদের উপর ১৯৬১ সালের আয়কর আইন কার্যকর হয় না।


আয়কর জমা না হলে লাগবে জরিমানা


আয়কর আইন অনুসারে দেশের সমস্ত নাগরিক যাদের আয় করযোগ্য সীমার মধ্যে পড়ে তাদের আয়কর জমা করাটা আবশ্যিক। ইতিমধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য এখনও পর্যন্ত ৫ কোটি আইটিআর ফাইল জমা পড়েছে। আয়কর বিভাগের তথ্য অনুসারে প্রতিদিনই এই সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আর আপনি যদি করযোগ্য সীমার মধ্যে পড়েও ৩১ জুলাই অর্থাৎ আজকের মধ্যে কর জমা না করেন, তাহলে আপনাকে ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। কিন্তু সিকিমের অধিবাসীদের এ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। তাদের করও দিতে হবে না, জরিমানাও লাগু হবে না।


সিকিউরিটিজ-ডিভিডেন্ড থেকে আয়ও করযোগ্য নয় সিকিমে


১৯৭৫ সালে সিকিম ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। সেই সময় সিকিমের শর্ত ছিল যে তারা শুধু তাদের পুরনো নিয়ম-নীতিই মেনে চলবে এবং স্পেশাল স্টেটাসে থাকবে। আর তাই আয়কর আইনের আওতার বাইরেই থেকেছে সিকিম। সিকিউরিটিজ এবং ডিভিডেন্ড থেকে আয় করলেও তাদের কোনও কর দিতে হয় না। তবে ১৯৭৫ সালের আগে থেকে যে সমস্ত অধিবাসী সিকিমে বসবাস করছেন, তারাই কেবল এই সুবিধে পাবেন।


আরও পড়ুন: Ola Electric: তথ্য চুরি করেছে সংস্থা ! আইপিও আসার আগে বড় অভিযোগের মুখে ওলা ইলেকট্রিক