নয়াদিল্লি: এবার আইন করে বিটকয়েন-সহ ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পথে এগোচ্ছে ভারত। বিটকয়েনের লেনদেন প্রমাণিত হলে ফৌজদারি অপরাধের ধারাও যুক্ত করা হচ্ছে এই বিলে।
বিটকয়েন, ডোজ়কয়েনের মতো সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। এই সংক্রান্ত আইন পাশ হতে পারে সংসদে। শুধুমাত্র নিষিদ্ধ করাই নয়, এই ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বিনিময়যোগ্য ভার্চুয়াল মুদ্রা নিয়ে ব্যবসাকে রীতিমতো অপরাধের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা চলছে। যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করা হয়, তা হলে ভারতই হবে প্রথম দেশ যারা এই সংক্রান্ত ব্যবসাকে অপরাধের আওতায় ফেলবে। এর আগে চিন ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে ব্যবসা নিষিদ্ধ করেছিল। তবে অপরাধের আওতায় ফেলেনি।ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছেন। তাই আইন পাশ করার আগে বিনিয়োগকারীদের অন্তত ৬ মাস সময় দেওয়া হবে, যাতে ওই সময়ের মধ্যে তাঁরা নিজেদের বিনিয়োগকে ভারতীয় মুদ্রায় রূপান্তরিত করে নিতে পারেন। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে বিনিয়োগকারীদের জরিমানা করা হবে। আমেরিকায় ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে লেনদেন করের আওতাভুক্ত। কিন্তু অনেক দেশই এর ওপর কর বসায়নি।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে ভারতে বিটকয়েন-সহ সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়ে দিয়েছিল, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করে এমন কোনও অ্যাপে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবে না কোনও ব্যাঙ্ক। তার ফলে সরাসরি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ না হলেও এর লেনদেন বন্ধ হয়ে যায় ভারতে। এ বার পাকাপাকি ভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বন্ধ করতে বিল আনার প্রক্রিয়া কেন্দ্র শুরু করেছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। আর এই খবর সামনে আসতেই রেকর্ড উচ্চতা থেকে অনেকটাই দাম পড়ল বিটকয়েনের।
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাস্তবে দেখা যায় না। কেবলমাত্র অনলাইনেই এর অস্তিত্ব রয়েছে।নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলেই এটিকে বিপজ্জনক মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই আইন নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা চলছে।